গীবত (পরনিন্দা)

সীরাহ থেকে আমরা একটা অসাধারণ বিষয় লক্ষ্য করি যে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই (মুনাফিক্বদের সর্দার) ছাড়া আর কোনো মুনাফিক্বের নাম জানা যায় না। এটার মাঝে চিন্তার অনেক খোরাক আছে। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঠিকই জানতেন যে কারা মুনাফিক্ব। অথচ তাঁর বাহ্যিক আচরণে সেটা প্রকাশ পায় নি। বিভিন্ন ঘটনাতে অনেকের আসল চেহারাই প্রকাশ পেয়ে গিয়েছিল, তবু

গীবত ও চুগলখোরী Sabet Bin Mukter “যদিও গীবত করা ভালো না, তারপরও একটা সত্য কথা বলি…”। এভাবেই আমরা গীবত শুরু করি। কারো এমন কথা যা তার সামনে বললে যদি সে কষ্ট পায় ওই একই কথা যদি তার অনুপস্থিতিতে আরেকজনের সামনে বললে তাকেই গীবত বলে যদিও কথাটি সত্য হোক না কেন। সত্য হলে গীবত আর বানিয়ে

গীবত কি? হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম বলেছেনঃ তোমরা কি জান, গীবত কি? তাঁরা বললেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ গীবত হল তোমার ভাইয়ের সম্পর্কে এমন কিছু আলোচনা করা, যা সে অপছন্দ করে। প্রশ্ন করা হলঃ আমি যা বলেছি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থেকে

ওর মত আবুল আমি লাইফে একটাও দেখি নাই …………. “”ছেলেটাতো আস্ত একটা ফাউল …………. “” ওর টাক দেখসিশ ? পুরাই সার্জার স্টেডিয়াম …….. “” আমাদের ব্যাচে একটা মেয়ে আছে না ? ওইযে খুব ঢং কইরা কথা বলে……….. “” এক বাপের এক পোলা তো , আহ্লাদ থাকবে না আবার ? ……….. “” ব্যাটা অলওয়েজ দুই লাইন

গীবত নিয়ে লেখা আমরা অধিকাংশই জীবনে কখনো না কখনো জেনে বা না জেনে, বুঝে বা না বুঝে গীবত করেছি। গীবত আপন মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার মত ভয়ংকর গুনাহ- যা অনেক ভয়াবহ পরিনতি নির্দেশ করে। গীবত আবার বান্দার হাক্বের সাথে সম্পর্কিত। দেখেন আমি যত ভাল কাজই করিনা কেন, আটকে যেতে পারি সামান্য মনে করে বলা কোন

আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভাল কথা বলে; নচেৎ চুপ থাকে।” মহান আল্লাহ বলেছেন, {ﻭَﻟَﺎ ﻳَﻐۡﺘَﺐ ﺑَّﻌۡﻀُﻜُﻢ ﺑَﻌۡﻀًﺎۚ ﺃَﻳُﺤِﺐُّ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢۡ ﺃَﻥ ﻳَﺄۡﻛُﻞَ ﻟَﺤۡﻢَ ﺃَﺧِﻴﻪِ ﻣَﻴۡﺘٗﺎ ﻓَﻜَﺮِﻫۡﺘُﻤُﻮﻩُۚ ﻭَﭐﺗَّﻘُﻮﺍْ ﭐﻟﻠَّﻪَۚ ﺇِﻥَّ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﺗَﻮَّﺍﺏٞ ﺭَّﺣِﻴﻢٞ}অর্থাৎ তোমরা একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা (গীবত)