গীবত নিয়ে লেখা
আমরা অধিকাংশই জীবনে কখনো না কখনো জেনে বা না জেনে, বুঝে বা না বুঝে গীবত করেছি। গীবত আপন মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার মত ভয়ংকর গুনাহ- যা অনেক ভয়াবহ পরিনতি নির্দেশ করে। গীবত আবার বান্দার হাক্বের সাথে সম্পর্কিত। দেখেন আমি যত ভাল কাজই করিনা কেন, আটকে যেতে পারি সামান্য মনে করে বলা কোন এক গীবতের জন্য। কি ভয়াবহ অবস্থা হবে সেদিন, যেদিন জান্নাত জাহান্নামের ফায়সালা হবে আর আমি আটকে যাচ্ছি আল্লাহর এই অত্যন্ত অপছন্দের কাজের জন্য। কী করা যায় – করা যায় একটাই কাজ, তা হল তাওবা করে আর গীবত না করার সংকল্প করা নিজের সাথে, যাদের গীবত করেছি তাদের কাছে মাফ চাওয়া আর আল্লাহর কাছে বারবার মাফ চাওয়া।
এখন কঠিন হল দুই নাম্বার কাজটা। তাইনা? কিন্তু বিশ্বাস করুন আপনি যদি এই কাজটা আল্লাহর জন্য করতে চান মানে যাদের গীবত করা হয়েছে তাদের কাছে মাফ চাইবেন এটা চিন্তা করেন তাহলে আল্লাহই আপনার জন্য কাজটা সহজ করে দেবেন। আমিও চেষ্টা করেছি, আলহামদুলিল্লাহ সবাই তাদের কাছে মাফ চেয়ে নেয়াটা খুব সহজভাবেই নিয়েছে। একজন মুফতি সাহেব বলেছিলেন যদি পরিচয় প্রকাশ করে মাফ চাইতে সমস্যা হয় তবে পরিচয় গোপন করেও মাফ চাওয়া যাবে। এভাবে মাফ চেয়ে আমিও মাফ পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ।
আর দেরি করিয়েন না, নামের লিস্ট করে ফেলি যাদের গীবত বা সমালোচনা করা হয়েছে তারপর মাফ চেয়ে হাশরের দিনে আমল নামাতে গুনাহের বোঝা হালকা করে ফেলি, চলেন সবাই। It works really works. বান্দার হাক্ব আদায়ে আমি যত্মশীল হলে আল্লাহও সাহায্য করবেন এই বিশ্বাস টুকু রাখি যেন সবাই।তবে আর যেন গীবত না করি নিজের সাথে সেই ব্যাপারে কমিটেড হইতে হবে।
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।
{{{সৌজন্যেঃ দ্বীনী বোন বিনতে শাহাব}}}