বিয়ে

পাত্র পাত্রী দেখাশোনার মধ্যে পাত্রী দের কেই বেশি বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়। বিড়ম্বনা বলা কি ঠিক? অশালীন ও অশোভোন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। সবসময় যে জেনে বুঝে পাত্র রা এমন আচরণ করেন তা কিন্ত নয়। কিছু তাদের পারিবারিক চাপ ও কিছু ব্যাক্তিগত জ্ঞানের অভাব। আর সবাই যে এমন তা ও বলছি না। তবে বাস্তব সমাজের

বিবাহে পাত্র-পাত্রীর সম্মতি : ***************************** বিবাহের ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রী বা বর-কনে হ’ল মূল। যারা সারা জীবন একসাথে ঘর-সংসার করবে। সেকারণ বিবাহের পূর্বে তাদের সম্মতি থাকতে হবে। কোন অবস্থাতেই কোন ছেলে-মেয়ের অসম্মতিতে তাদেরকে বিবাহ করতে বাধ্য করা উচিত নয়। আল্লাহ বলেন,يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا لاَ يَحِلُّ لَكُمْ أَن تَرِثُوْا النِّسَاءَ كَرْهاً ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্য বৈধ নয়

ইসলামে সাময়িক বিবাহ করার বিধান। *************************************** ইসলামের সাময়িক বিবাহের কোনো বিধান আছে কি? আমার একজন বন্ধু অধ্যাপক আবুল জুরজির একটি কিতাব পড়ে, সে খুব প্রভাবিত হয়। তাতে বলা হয়, বিবাহিত হওয়া স্বত্বেও উভয়ের সম্মতিতে সাময়িক বিবাহ করাতে কোনো ক্ষতি নেই। একে ইসলামে নিকাহে মুয়াক্কাত বলে। যখন তোমার নিকট কাউকে ভালো লাগবে তখন তুমি অল্প সময়ের

উত্তর-বিয়ের আকদ (চুক্তি) করানোর দায়িত্ব মেয়ের অভিভাবককে পালন করতে হবে। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বিয়ে দেয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি নির্দেশনা জারী করেছেন। কুরান থেকে দলিল- আল্লাহ তাআলা বলেন: “আর তোমরা তোমাদের মধ্যে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের বিবাহ দাও।”[সূরা নুর, ২৪:৩২] হাদিস থেকে দলিল – ১-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে

প্রশ্ন : আমাদের এলাকায় এক ব্যক্তি দু’টি বিবাহ করেছেন। তিনি প্রথম স্ত্রীকে তার বাপের বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি তার সেই প্রথম স্ত্রীকে ভরণ-পোষণ প্রদান করেন না। তার সাথে কোন সম্পর্কও রাখেন না। আবার তাকে একেবারে বিদায়ও করছেন না। এমতাবস্হায় সেই মহিলাটি প্রায় আট বৎসর যাবত তার বাপের বাড়ীতে দুঃখ-কষ্ট করে জীবনযাপন করছে। অন্যকোন জায়গায় বিবাহ

‘বিয়ে জীবনে একবারই হয়’ একথা আমাদের মা-বোনদেরকে প্রায়ই গর্ব করে বলতে শোনা যায়। তারা হয়তো ভাবেন এটা তাদের মান-মর্যাদা, জাত্যাভিমান। আসলে এটা মর্যাদা নয় অপমান। এর পেছনে লুকিয়ে আছে ব্রাম্মনবাদী পৌত্তলিক অপবিশ্বাস। এ সংস্কৃতি হিন্দুদের থেকে এসেছে। ইতিপূর্বে হিন্দু সমাজে নারীদের বিয়ে একবারই হতো। স্বামী মারা গেলে তাকেও তার সাথে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হতো। বিধবাদের

একজন স্বামী এবং স্ত্রী পরস্পর তিনটি চাহিদাকে কেন্দ্র করে একে অপরের সাথে জড়িয়ে থাকে। শারীরীক চাহিদা, মানসিক চাহিদা এবং আধ্যাত্মিক চাহিদা। এর কোন একটির ঘাটতি বয়ে আনতে পারে অসন্তুষ্টি। আর তাই বিয়ের আগ মুহূর্তে সুন্নাহ মোতাবেক পারিবারিক জীবন অতিবাহিত করার একটা রাফ প্ল্যান করে নিতে পারেন। কিছু বিষয় হাইলাইট করে যদি সুন্নাহ মোতাবেক জীবন পরিচালনা