দোয়া ও যিকির

অসুস্থ মানুষের জন্য যে সব দো‘আ বলা হয় ================================================================== 1/906 عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا: أنَّ النَّبيَّ ﷺ، كَانَ إِذَا اشْتَكَى الإنْسَانُ الشَّيْءَ مِنْهُ، أَوْ كَانَتْ بِهِ قَرْحَةٌ أَوْ جُرْحٌ، قَالَ النَّبيُّ ﷺ بِأُصْبُعِهِ هكَذا- وَوَضَعَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَة الرَّاوي سَبَّابَتَهُ بِالأَرْضِ ثُمَّ رَفَعَها- وَقَالَ: «بِسمِ اللهِ، تُرْبَةُ أرْضِنَا، بِرِيقَةِ بَعْضِنَا، يُشْفَى بِهِ سَقِيمُنَا، بِإِذْنِ […]

দু‘আ ================================================================== আভিধানিক অর্থে দুআ : দুআ শব্দের অর্থ আহ্বান, প্রার্থনা। শরীয়তের পরিভাষায় দুআ বলে কল্যাণ ও উপকার লাভের উদ্দেশ্যে এবং ক্ষতি ও অপকার রোধকল্পে মহান আল্লাহকে ডাকা এবং তার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা। দুআ শব্দ পবিত্র কুরআনে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার হয়েছে। নিম্নে তার কয়েকটি উল্লেখ করা হল। ১- ইবাদত : মহান আল্লাহ বলেন :

হাদীসের নির্বাচিত দো‘আ: ================================================================= 1. «اَللَّهُمَّ أَعِنِّا عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ» (১) ‘হে আল্লাহ! তোমার যিকর করার, তোমার শুকরিয়া জ্ঞাপন করার এবং তোমার ইবাদত সঠিক ও সুন্দরভাবে সম্পাদন করার কাজে আমাকে সহায়তা কর।’[হাকিম : ১/৪৯৯] 2. «اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ، وَأُعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ، وَأَعُوذُ بِكَ من أَنْ أُرَدَّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ،

কুর‘আন থেকে নির্বাচিত দো‘আ সমূহ *************************************************************************************************** • কুরআনের নির্বাচিত দো‘আ: ১- ﴿ رَبَّنَا ظَلَمۡنَآ أَنفُسَنَا وَإِن لَّمۡ تَغۡفِرۡ لَنَا وَتَرۡحَمۡنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٢٣ ﴾ [الاعراف: ٢٣] (১) ‘হে আমাদের রব, আমরা নিজদের উপর যুল্ম করেছি। আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদেরকে রহম না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব।’[আরাফ ২৩]

কারও বাড়ীতে দাওয়াত খেলে বাড়ী ওয়ালার জন্য দু’আ করা তিনি কারও বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেলে বাড়ি ওয়ালার জন্য দু’আ না করে ফেরত আসতেন না। ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) আবুল হাইছাম (রাঃ) এর ঘটনায় উল্লেখ করেছেন যে, আবুল হাইছাম তাঁকে এবং তাঁর সাহাবীদেরকে দাওয়াত করলেন। খাওয়া শেষে তিনি বললেন- তোমাদের ভাইকে ছাওয়াব দান কর। তারা বললেন-

প্রতিদিনের রুকইয়া ও ঝাড়ফুক চোখের নজর, কালো যাদু, তাবীজ-কবজ, এক্সিডেন্ট, রোগ-ব্যাধি, জিনের আসর….এইরকম যেকোন ক্ষতি থেকে বেচে থাকার জন্য প্রতিদিন এই দুয়াগুলো পড়তে হয়। এই দুয়াগুলো ওযু ছাড়া, শুয়ে বসে যেকোন অবস্থাতে, এমনকি নারীরা ঋতু অবস্থাতেও পড়তে পারবেন। বিভিন্ন বিপদ-আপদ ও ক্ষতি থেকে নিরিপদ থাকার জন্য আমাদের এই দুয়াগুলো পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। ১.

বিসমিল্লাহ। ওয়ালহা’মদুলিল্লাহ। ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আ’লা রাসূলিল্লাহ। আম্মা বা’দ। মহান আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ “তোমার প্রতিপালককে মনে মনে ভয় ও বিনয়ের সাথে নিচুস্বরে সকালে ও সন্ধ্যায় স্মরণ কর, আর তুমি উদাসীনদের দলভুক্ত হয়ো না।” [আ’রাফঃ ২০৫] ***সন্ধ্যা কথাটি দ্বারা অর্থ হচ্ছে আসর ও মাগরিবের মধ্যবর্তী সময়। তিনি আরও বলেছেনঃ “সূর্যের উদয় ও অস্ত যাওয়ার পূর্বে

আমাদের সমাজে যতগুলি বিদ’আত প্রচলিত আছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফরয সালাতের পর সম্মিলিত মুনাজাত। এই সম্মিলিত মুনাজাতের দলীল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে পাওয়া যায় না । কোন কোন বিদ’আত বছরে একবার করা হয় , কোন কোনটি হয়ত মাসে একবার , কোন কোনটি হয়তো সপ্তাহে একবার । কিন্তু সম্মিলিত মুনাজাত এমন এক বিদ’আত