আদব-শিষ্টাচার ও চরিত্র

খানা খাওয়ার সুন্নত সমুহ: ১/ আমরা শুধু ডান হাত ধোয়েই খেতে বসি। কিন্তু হাদীসে আছে উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধুতে হবে। (আবু দাউদ -৩৭৬১) ২/ দস্তরখান বিছিয়ে খেতে হবে। কতজন মানি এটা? এটা অবশ্যই করনীয়। (বুখারী -৫৩৮৬) দস্তরখান বিছানোর ও নিয়ম আছে। যেন তেন ভাবে দস্তরখান বিছালেই হবে না। প্রথমে আল্লাহর নেয়ামতের মুখাপেক্ষী হয়ে বসতে […]

একটি সতর্কতা জাবির আব্দুল্লাহ জামাতের সময় মসজিদে মোবাইলের রিংটোন বেজে ওঠা নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কখনো খোদ নামাযী ব্যক্তির অবহেলা বা ভুলোমনের কারণে, কখনো যিনি ফোন করছেন তার অসচেতনতার কারণে। মুসল্লীগণ বিরক্ত হচ্ছেন, আর যার ফোন বেজে উঠছে তিনি লজ্জায় পড়ছেন। এর বিভিন্ন কারণ রয়েছে, আজ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছা করছি। সাধারণত এমন

দুষ্টুমির ছলেও কাউকে কষ্টে ফেলব না আবু আহমাদ এক বন্ধু আরেক বন্ধুর সাথে দুষ্টুমি করবেই। এতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু আমরা মাঝেমধ্যে এমন ধরনের দুষ্টুমি করি, যার মাধ্যমে মানুষ কষ্ট পায়। দুষ্টুমি করে কাউকে জোরে ঘুষি মেরে দিলাম বা জোরে চিমটি কাটলাম, ফলে সে ব্যাথা পেল। তেমনি কয়েক বন্ধু যুক্তি করে কাউকে এমন ভয় দেখালাম,

পথ ও পথিকের হক মাওলানা শিব্বীর আহমদ সমাজবদ্ধ জীবনে পথের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। আর সেই পথটি সবসময়ের জন্যেই নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত থাকবে, নির্ভয়ে নিশ্চিন্ত মনে আপন সম্মান ও সম্ভ্রম রক্ষা করে সেই পথ দিয়ে হেঁটে যাওয়া যাবেÑ এটি একজন পথিকের হক ও অধিকার। সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকেই পথে ধরে চলতে হয়। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর কিংবা সর্বোচ্চ

ইলম অর্জনের পদ্ধতি : কিছু প্রয়োজনীয় কথা আবদুল্লাহ আবু মুহাম্মাদ ইসলামে দ্বীনী ইলম অর্জনের অবকাশ সবার জন্য উন্মুক্ত। যে কোনো বংশের লোক, যে কোনো শ্রেণি-পেশার মানুষ, যে কোনো অঞ্চলের অধিবাসী কুরআন-সুন্নাহর ইলম অর্জন করতে পারেন; বরং ইসলামে তা কাম্য। কুরআন-সুন্নাহয় এ বিষয়ে উৎসাহিত করা হয়েছে। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি

কয়েকটি বর্জনীয় দৃশ্য আবু আহমাদ কিছু বিষয় আছে, যা নিজেরটা নিজে দেখা যায় না বা অনুভব করা যায় না। আবার কিছু বিষয় আছে, যা নিজে একটু খেয়াল করলেই আমরা বুঝতে পারি, কিন্তু অনেক সময় ওদিকে নযর যায় না। এমনই কয়েকটি বিষয় নিয়ে মুযাকারা করাই আজকের লেখার উদ্দেশ্য। এক. আমি কারো সাথে সামনা-সামনি কথা বলছি তার

যে আওয়াজ অন্যকে কষ্ট দেয় আবু আহমাদ অন্যকে কষ্ট দেওয়া ভালো কাজ নয়। প্রকৃত মুসলিম তো সেই যার দ্বারা অন্যে কষ্ট পায় না। দৈনন্দিন চলাফেরায় আমার দ্বারা যেন কেউ কষ্ট না পায়- এ চেষ্টা সকলেরই কিছু না কিছু থাকে। কিন্তু কিছু বিষয় আছে, যার দ্বারা অন্যে কষ্ট পায় ঠিকই কিন্তু আমি উপলব্ধি করতে পারি না।

খোঁটা দেওয়ার কুফল মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম ইসলামে পরোপকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা ঈমানের দাবি এবং আল্লাহ তা‘আলার অত্যন্ত পসন্দনীয় কাজ। এক হাদীসে ইরশাদ হয়েছে- خَيْرُ النَّاسِ أَنْفَعُهُمْ لِلنَّاسِ “যে ব্যক্তি মানুষের বেশি উপকার করে, সেই শ্রেষ্ঠ মানুষ।” মানুষের উপকার করা যায় বিভিন্নভাবে। অর্থ দিয়ে, শক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে এবং বিদ্যা দিয়ে। আল্লাহ তা‘আলা

শোকর ও কৃতজ্ঞতা : ফযীলত ও পদ্ধতি শিব্বীর আহমদ খোলাফায়ে রাশেদিনের বাইরে দু-চারজন সাহাবীর নামও যাদের জানা আছে, কিংবা মাঝেমধ্যে হলেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় সাহাবীগণের নাম যারা পড়েন বা শোনেন, তাদের কারও কাছেই ‘হযরত মুআয ইবনে জাবাল রা.’ নামটি অজানা থাকার কথা নয়। প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন তাঁর এই প্রিয় সাহাবীটির

মীমাংসা : এক মহিমান্বিত গুণ মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহমান সকলের কর্তব্য পরস্পরে মিলেমিশে ও ভাই-ভাই হয়ে চলার চেষ্টা করা। ঝগড়া-বিবাদ থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকা। কিন্তু এ সত্ত্বেও দু’জনের মধ্যে কখনো বিবাদ সৃষ্টি হওয়া অসম্ভব নয়। দুই অন্তরঙ্গ বন্ধুর মধ্যেও বিবাদ সৃষ্টি হয়। স্বামী-স্ত্রীর নিরাবরণ সম্পর্ককেও তা স্পর্শ করে। মা আর সন্তানের নাড়ির বন্ধনও একে সম্পূর্ণ