প্রশ্নোত্তর

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম “ইসলাম” আরবী শব্দ যার অর্থ “আনুগত্ত করা বা আত্মসমর্পন করা”। আর শান্তির আরবী শব্দ হচ্ছে ‘সালাম’। আরবী ভাষার বিখ্যাত ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অভিধান ‘ইবনে মানজুর’ রচিত ‘লিসানুল আরব’ এ বলা হয়েছে, ইসলাম শব্দটি ‘ইসতিসলাম’ ( ﺍﺳﺘﺴﻼﻣﺎ) শব্দ থেকে নেয়া হয়েছে যার অর্থ হচ্ছে কারো কাছে নত হওয়া, আত্মসমর্পণ করা। : আমাদের অনেকেই […]

প্রশ্নঃবিবাহের পর স্ত্রীর জন্য শ্বশুর-শ্বাশুড়ি, না নিজ পিতা-মাতার সেবা করা অধিক জরূরী? এছাড়া স্বামী এবং নিজ পিতা-মাতার আদেশ-নিষেধের মাঝে বৈপরীত্য দেখা দিলে কার আদেশ-নিষেধ অগ্রাধিকার পাবে? —- উত্তরঃ-প্রত্যেক সন্তানের জন্য তার পিতা-মাতার সেবাযত্ন করাই সর্বাগ্রে জরূরী (ইসরা ১৭/২৩)। স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তার শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর খেদমতে বাধ্য করা উচিৎ নয়। তবে অবশ্যই তাদের সাথে সদাচরণ করা কর্তব্য।

উত্তর : স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কোন পর্দা নেই উভয়েই এক অপরের পোশাক।[1] উভয়েই উভয়ের সর্বাঙ্গ দেখতে পারে। তবে সর্বদা নগ্ন পোশাকে থাকা উচিৎ নয়।[2] মা-বেটার মাঝে পর্দা ও গোপনীয় কেবল নাভি হতে হাঁটু পর্যন্ত। অন্যান্য নিকটাত্মীয়; যাদের সাথে চিরকালের জন্য বিবাহ হারাম তাদের সামনে পর্দা ও গোপনীয় হল গলা থেকে হাঁটু পর্যন্ত।[3] অবশ্য কোন চরিত্রহীন এগানা

উত্তর :-আল্লাহ তাআ’লা যেদিন কলম সৃষ্টি করেছেন, সেদিন থেকে কিয়ামত পর্যন্ত যত মাখলুকাত সৃষ্টি হবে, সবই লাওহে মাহফূজে লিপিবদ্ধ আছে। আল্লাহ তাআ’লা কলম সৃষ্টি করে বললেন, লিখ। কলম বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমি কি লিখব? আল্লাহ তাআ’লা বললেন, কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু হবে সব লিখে ফেল। সে সময় কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু পৃথিবীর বুকে সংঘটিত

✔#প্রশ্ন : পুরুষেরা মাথার মাঝখানে সিঁথি করতে পারে কি? কয় পদ্ধতিতে চুল রাখা যায়? – ♥উত্তর : পুরুষেরা মাথার মাঝখানে সিঁথি করতে পারে (বুখারী হা/৫৯১৭; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২৫) । আর মাথার চুল লম্বা রাখা বা ছোট করে রাখা উভয়টিই জায়েয। এটি ‘সুনানুয যাওয়ায়েদ’ বা অভ্যাসগত সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত। এ ধরনের সুন্নাতকে প্রতিষ্ঠা করা ভাল। তবে

আযান কি বিরক্তিকর? -আবদুল্লাহিল হাদী মু.ইউসুফ =============-==== ভূমিকাঃ আযান শব্দটি আরবী শব্দ বাংলায় তার অর্থ হয় ঘোষণা, ইসলামের পরিভাষায়ঃবিধি বদ্ধ নিদৃষ্ট শব্দাবলী উচ্চারণ করে নামাযের সময় হওয়ার ঘোষণা দেয়া। ইসলামে আযানের প্রবর্তন হয় 1ম হিযরীতে, সাহাবী আবদুল্লাহ বিন যায়েদ এবং ওমার বিন খাত্তাব (রাযিয়াল্লাহু আনহুমার) স্বপ্ন এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের) স্বীকৃতির ভিত্তিতে।(তিরমিযী-189, আবু

আমাদের মুসলিম সমাজে আজকাল এবোর্শান বিষয়টা এত সহজ হয়ে গেছে যে, হসপিটালগুলোতে MR, MVA, D&C, D&E প্রভৃতি নামে মুড়ি-মুড়কির দরে এবোর্শান করানো হয়, অথচ আল্লাহর কাছে এটি মারাত্মক জঘন্য একটি কাজ। আসুন এই বিষয়ে ফিক্বহের মাস’আলা জেনে নিই, আশা করি সাধারণ মানুষ এবং বিশেষ করে আমাদের ডাক্তার সমাজ একটু হলেও সচেতন হবেন। প্রথমতঃ কিছু আলেমের

প্রশ্নঃওযুর সময় কেউ যদি কোন একটি অঙ্গ ধৌত করতে ভুলে যায়, তবে তার বিধান কি? উওরঃ যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। ওযু করার সময় কেউ যদি একটি অঙ্গ ভুলে যায়, তবে যদি অচিরেই তা মনে পড়ে, তাহলে তা ধৌত করবে