সিয়াম বা রোজার কিছু আহকাম এবং প্রচলিত কিছু ভুলের নমুনা

আসসালা-মু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
:
এই পোস্টে রমযানের সিয়ামে বা যে কোনো সুন্নাহসম্মত নফল সিয়ামে কিছু হুকুম-আহকাম এবং প্রচলিত কিছু ভূল তুলে ধরা হলো যাতে করে আমি সহ অন্যান্য মানুষজন সতর্ক হতে পারে।
:
==> ১। সাহরির খাবারের পর যে নিয়ত পড়া হয়:— “নাওয়াতুআন আসুমা গাদাম মিন শাহরি রমযানাল মুবারাকা…………।”

এই নিয়ত পড়া বিদআত এবং বাতিল। উচ্চারণ করে কোনো নিয়ত পড়া নেই। অবশ্যই নিয়ত ছাড়া নামায-রোজা কিছুই কবুল হয় না। তবে জেনে রাখা জরুরী যে, নিয়ত হলো করার জিনিস, পড়ার জিনিস নয়। নিয়ত হবে অন্তরে। মুখে উচ্চারণ করে নয়। আপনি যে সাহরি খাচ্ছেন, এটাই প্রমাণ করে যে আপনি সিয়াম পালন করার নিয়তেই সাহরি খাচ্ছেন। অন্তরে যদি নিয়ত না থাকত তাহলে আপনি সাহরি খেতেন না।
কাজেই, উচ্চারণ করে নিয়ত পড়া ছেড়ে দিন। বিষয়টা সিরিয়াস। এতটুকু কাজই আপনার পুরো আমলকে বর্বাদ করে দিতে পারে। কারণ বিদআত যে কোনো আমলকে বর্বাদ করে দেয়।
:
==> ২। ইফতারের সময় যে দু’আটা পড়া হয় তা সহীহ নয়। যা হলো:— “আল্লাহুম্মা সুমতু লাকা ওয়াতা ওয়াক্কালতু ‘আলা রিযকিকা ওয়া আফতারতু………।”
অথবা:— “আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু………” অথবা “আল্লাহুম্মা ইন্নী লাকা সুমতু………।”

উক্ত বাক্যসমূহ দিয়ে যে ইফতারের দু’আ পড়া হয় তা আল্লাহর রসূল (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বিশুদ্ধ হাদীসে প্রমানিত নয়। কাজেই, এসব দু’আ পরিহার করা উচিত।
পক্ষান্তরে ইফতারের সময় “বিসমিল্লা-হ” বলে সিয়াম খুলে নিম্নলিখিত দু’আ পড়া সুন্নাহসম্মত, যা হাদীস দ্বারা প্রমানিত। দু’আটি হলো,
ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ وَثَبَتَ الأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللهُ
উচ্চারণঃ- যাহাবাযযমাউ ওয়াবতাল্লাতিল ‘উরু-ক্বু ওয়াসাবাতাল আজরু ইন-শা-আল্লাহ।
অর্থঃ- পিপাসা দূরীভূত হলো, ধমনী শিক্ত হলো এবং সওয়াব প্রতিষ্ঠা হলো ইন-শা-আল্লাহ।

[বি.দ্র.ঃ- আরবী দেখে পড়ুন কারণ বাংলা দেখে আরবী সঠিক উচ্চারণ হয় না]
:
==> ৩। অনেকে মনে করে যে, সুবহে সাদিকের সময় অর্থাৎ ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার এক ঘণ্টা বা আধা ঘণ্টা বা দশ-পনেরো মিনিট আগেই সাহরির খাওয়া স্টপ করা জরুরী। এটা মহাভূল। বরং এটাকে শাইখ উসায়মিন (রহিমাহুল্লাহ) বিদআত বলে অভিহিত করেছেন। সঠিক কথা হলো যে, সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত অর্থাৎ ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত সাহরি খাওয়ার টাইম। এবং এই সময়ের মধ্যে যত দেরি করে খাওয়া যায়, সেটাই সুন্নাহ। তবে এমনিতে কেউ আগে খেতে চাইলে সেটা ভিন্নকথা।
:
==> ৪। অনেকে মনে করতে পারে যে, সূর্যাস্তের পর আরও পাঁচ-দশ মিনিট বা এরকম কিছুক্ষণ সময় অপেক্ষা করে ইফতার করা ভালো। মোটেই না। বরং এটা ইহুদীদের সুন্নাহ। রসূলের সুন্নাহ নয়। রসূলের সুন্নাহ হলো সূর্যাস্ত হয়ে গেলেই বিনা বিলম্বে দ্রুত ইফতার করা। কাজেই, যখনই দেখবেন বা জানতে পারবেন যে সূর্য ডুবে গিয়েছে, তখনই সাথে সাথে খেজুর দিয়ে শুরু করবেন, যা হলো সুন্নাহ।
:
==> ৫। অনেকে হয়ত মনে করে যে কোনোভাবে রক্ত বের হলেই সিয়াম ভঙ্গ হয়। কিন্তু তা পুরোপুরি ঠিক নয়। বরং সঠিক কথা হলো যে, জখমের মাধ্যমে বা কেটে গেলে, নাক দিয়ে বা মাড়ি দিয়ে রক্ত বের হলে তথা অনিচ্ছাকৃতভাবে রক্ত বের হলে সিয়াম নষ্ট হয় না। একইভাবে প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা করাতে হলেও সিয়াম ভঙ্গ হয় না (সম্ভব হলে ইফতার পর্যন্ত বিলম্ব করা উত্তম)।
তবে হ্যাঁ, রক্ত দান করলে অথবা শরীরে রক্ত নিলে সিয়াম ভঙ্গ হয়। একইভাবে হিজামা করালেও (cupping) সিয়াম ভঙ্গ হয়। এমনকি যে হিজামা করে দেবে তারও সিয়াম ভঙ্গ হয়। একইভাবে শরীরে কিছু প্রবেশ করালেও সিয়াম ভঙ্গ হয়, যেমন শরীরে স্যালাইন প্রবেশ করানো, ইত্যাদি।
:
==> ৬। ভিটামিনযুক্ত ইনজেকশন নিলে সিয়াম ভঙ্গ হয়। এছাড়া চিকিৎসার জন্য বা রক্ত পরীক্ষার জন্য ইনজেকশন নিলে সিয়াম নষ্ট হয় না। তবে সম্ভব হলে রাত পর্যন্ত দেরি করা উত্তম এবং এতে সন্দেহমুক্ত থাকা যায়। আর আল্লাহর রসূল (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন সন্দেহজনক বিষয় থেকে দূরে থাকতে।
:
==> ৭। কিডনি ডায়ালিসিস (Kidney dialysis) করালে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যায়।
:
==> ৮। অনেকে মনে করতে পারে যে দাঁত উঠালে বা দাঁত থেকে রক্ত বের হলে সিয়াম ভঙ্গ হয়। কিন্তু তা ভুল। এতে সিয়াম নষ্ট হয় না। তবে খেয়াল রাখতে হবে রক্ত যেন গলার ভেতর না যায় এবং রক্ত থুথুর সাথে ফেলে দিতে হবে।
:
==> ৯। অনেকে মনে করে ভূলবশত কিছু খেয়ে ফেললে সিয়াম ভঙ্গ হয়। এটা ঠিক নয়। বরং ভুলবশত কিছু খেয়ে ফেললে সিয়াম ভঙ্গ হয় না। তবে অবশ্যই ইচ্ছাপূর্বক খেলে সিয়াম ভঙ্গ হবে। যখনই সিয়ামের কথা স্মরণে আসবে তৎক্ষণাৎ খাওয়া স্টপ করতে হবে। নতুবা ভেঙ্গে যাবে। আর আল্লাহই অন্তর্যামী। তিনিই ভালো জানেন যে কে ইচ্ছা করে খেলো আর কে ভুল বশত খেলো।
:
==> ১০। অনেকে মনে করতে পারে যে, মুখের ভেতরের থুথু গিলে ফেললে সিয়াম ভেঙ্গে যায়। তা ভূল। এতে সিয়াম নষ্ট হয় না।
:
==> ১১। এমনিতে ওযু করার ক্ষেত্রে কুলি করার সময় এবং নাকে পানি দেয়ার সময় অতিরঞ্জন করে পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে। তবে সিয়াম অবস্থায় কুলি করার সময় এবং নাকি পানি দেয়ার সময় অতিরঞ্জন করতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ এতে পানি গলার ভেতরে প্রবেশ করে ভেতরে চলে যেতে পারে।
:
==> ১২। অনেকে মনে করতে পারে চোখে বা কানে ঔষধের ড্রপ দিলে সিয়াম ভঙ্গ হয়। এটা ঠিক নয়। বরং কানে বা চোখে ঔষধের ড্রপ দিলে বা চোখে সুরমা দিলে সিয়াম ভঙ্গ হয় না। তবে নাক দিয়ে কিছু নিলে সিয়াম ভঙ্গ হয়।
:
==> ১৩। অনেকে মনে করে যে পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজলেই বুঝি সিয়াম ভেঙ্গে যায়। এই ধারণা ভুল। পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজলে সিয়াম ভাঙ্গে না। তবে শর্ত হলো যে, পেস্ট যেন গলা থেকে পেটের ভেতর না যায়। পেস্ট মুখের ভেতর কন্ট্রোলে রেখে গলার ওপাশে না গেলে কোনো সমস্যা নেই। এই মর্মে সৌদি আরবের বিগত প্রধান মুফতি শাইখ বিন বায (রহিমাহুল্লাহ)-এর ফতোয়া রয়েছে। একইভাবে সিয়াম অবস্থায় মেসওয়াক দিয়ে দাঁত মাজলে কোনো দোষ নেই।
:
==> ১৪। অনেকে মনে করতে পারে যে স্বপ্নদোষ হলে সিয়াম ভাঙ্গে। এটা ভূল। স্বপ্নদোষ হলে সিয়াম ভাঙ্গে না, তবে অবশ্যই ফরজ গোসল করতে হবে। কারণ এটা মানুষের সামর্থ্যের বাহিরে এবং তা সে ইচ্ছা করে করছে না। তবে হ্যাঁ, স্বপ্নদোষ ছাড়া অন্য যেকোনোভাবে যদি বের হয় অথবা দিনের বেলা সহবাস করা হয়, তাহলে অবশ্যই সিয়াম ভাঙ্গবে।
:
==> ১৫। অনেকে মনে করতে পারে যে সমগ্র রমযান মাসেই বুঝি স্বামী-স্ত্রীর সহবাস করা নিষিদ্ধ। আমার কাছেই বছর খানেক আগে আমার এক বিবাহিত বন্ধু এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিল। কিন্তু এটা ভুল। বরং সহবাস করা হারাম শুধু দিনের বেলা সিয়াম থাকা অবস্থায়। রমযানের রাতে সহবাস করাতে কোনো দোষ নেই। তবে যদি কেউ কোনোভাবে দিনের বেলা সহবাসের কারণে সিয়াম নষ্ট করে তাহলে তাকে অবশ্যই এর কাফফারা দিতে হবে। এর কাফফারা হলো একজন দাস/দাসী মুক্ত করতে হবে। তা করতে অক্ষম থাকলে দুইমাস একভাবে সিয়াম পালন করতে হবে (এক এক দিন সিয়ামের পরিবর্তে)। শারীরিকভাবে তা করতে অক্ষম হলে ষাটজন মিসকিন খাওয়াতে হবে (এক এক দিনের পরিবর্তে) (জনপ্রতি মিসকিনকে আধা সা অর্থাৎ সোয়া এক কেজি পরিমাণ)। আর এই বিধানের কথা স্বয়ং আল্লাহর রসূল নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন যা আছে সহীহ বুখারী-মুসলিম এর হাদীসে।
তবে যদি সফর অবস্থায় থাকে তাহলে সহবাস করতে দোষ নেই কারণ আল্লাহ সফরকারীদের জন্য সিয়ামের ব্যাপারে ছাড় দিয়েছেন অর্থাৎ পরে তা কাজা করতে পারে। এই বিষয়ে বিস্তারিত দেখুন এই পোস্টে,
https://www.facebook.com/abutawha/posts/10209201641659005?notif_t=like&notif_id=1465155497837587
:
==> ১৫। অনেকে মনে করে যে বমি করলেই সিয়াম ভঙ্গ হয়। এটা পুরোপুরি ঠিক নয়। বরং সঠিক কথা হলো যে অনিচ্ছাবশত বমি করলে সিয়াম নষ্ট হবে না। তবে স্বেচ্ছায় বমি করলে সিয়াম নষ্ট হবে এবং তা পরে কাজা করতে হবে।
:
==> ১৬। অনেকে মনে করতে পারে যে, আতর-খোশবু মাখলে সিয়াম ভাঙ্গে। তা অতিশয় ভুল। এতে সিয়ামের কোনই ক্ষতি হয় না (তবে নাক দিয়ে ধূপের গন্ধ নেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ এতে এমনকিছু থাকে যা পেটের ভেতর যেতে পারে)।
তবে খবরদার, মহিলারা আতর-সুগন্ধি-খোশবু-পারফিউম মেখে বাহিরে গমন করতে পারবে না, এমনকি ঘরেও মাখতে পারবে না যদি ঘর থেকে সেই সুগন্ধির ঘ্রাণ বাহিরে আসে বা পরপুরুষ অনুভব করতে পারে বা ঘর থেকে কোনো পরপুরুষ অনুভব করতে পারে। সহীহ হাদীসে মহিলাদের সুগন্ধি মেখে বাহিরে যাবার ব্যাপারে কঠিন ও ভয়ংকর বাণী উচ্চারণ করা হয়েছে। খোশবু-ঘ্রাণ মূলত পুরুষদের জন্য, ঠিক যেমন স্বর্ণ-অলংকার নারীদের জন্য।
:
==> ১৭। অনেকে মনে করে রমযানের তারাবীর সলাত আর তাহাজ্জুদ সলাত দুইটি পুরোপুরি ভিন্ন সলাত। এটা ভূল। বরং দুটিই একই সলাত। রমযানে কিয়ামুল্লাইল বা রাতের সলাত রাতের শুরুতে পড়া হয় (ইশার পর) তাই সেটা তারাবীহ। আর অন্যান্য মাসে এটা দেরী করে অর্ধরাতের পর বা শেষ রাতে পড়া হয় বিধায় সেটাকে বলা হয় তাহাজ্জুদ।
:
==> ১৮। অনেকে মনে করে যে তারাবী দ্রুত পড়াটাই সুন্নাহ। এটা মহাভূল। বরং দ্রুত পড়া ইসলাম পরিপন্থী এবং কুরআনের সাথে বেয়াদবি। বরং আস্তে ধীরে-সুস্থে থেমে থেমে স্পষ্ট করে ইতমিনারের সাথে তারাবী পড়া বাধ্যতামূলক এবং সুন্নাহ।
:
==> ১৯। অনেকে মনে করে যে, বিশ রাকাতের নিচে তারাবী পড়া যাবে না, আবার অনেকে মনে করে আট রাকাতের বেশিও তারাবী পড়া যাবে না। দুইটাই ভুল। বরং কেউ চাইলে আটের বেশিও পড়তে পারে আবার বিশের নিচেও পড়তে পারে তবে শর্তসাপেক্ষে। শর্ত ঠিক রেখে রমযানে বা রমযানে বাহিরে দুই দুই করে যত রাকাত ইচ্ছা তারাবীহ/তাহাজ্জুদ/কিয়ামুল্লাইল/রাতের-সলাত আদায় করতে পারে।
:
==> ২০। অনেকেই মনে করে যে, শবে ক্বদরের রাত বুঝি রমযানের ২৭শে রাতেই। তাই তারা শুধু ২৭শে রাতেই ইবাদত-বন্দেগী করে পরিশ্রম করে। এটা একটা ভূল। বরং শবে ক্বদরের রাত শেষ দশদিনের যে কোনো বেজোড় রাতেই হতে পারে (২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯) আর সেটা একুরেটভাবে কোন রাতটা তা একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন। কাজেই এই বেজোড় পাঁচটি রাতেই পরিশ্রম করে শবে ক্বদর তালাশ করা উচিত, যা আল্লাহর রসূল বলেছেন। প্রকৃতপক্ষে শেষ দশদিনের প্রত্যেক রাতেই রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগী করা সুন্নাহ এবং রেকমেন্ডেড। আল্লাহর রসূল কখনই বিনা ঘুমে সারারাত জেগে থাকতেন না শুধুমাত্র রমযানের শেষ দশরাত ছাড়া। কাজেই, এবার বুঝে নিন শেষ দশরাতে সারারাত ইবাদত-বন্দেগী করার মর্তবা। আর এই শেষ দশরাতেই পরিশ্রম করলে শবে ক্বদর মিস হবে না। আর ইবাদতের সময় যদি শবে ক্বদর মিলে যায় তাহলে এক হাজার মাস তার চাইতেও বেশি ইবাদত করার সমান সওয়াব। আর এক হাজার মাস মানে ৮৩ বছরেরও বেশি। সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি। কাজেই, নিশ্চয়তার সাথে শুধুমাত্র ২৭শে রাতেই শবে ক্বদর মনে করা একটা ভূল।
:
==> ২১। অনেকে মনে করে সিয়ামের ফিদিয়া বা কাফফারা টাকা দিয়ে আদায় হবে যা মহাভূল। একইভাবে অনেকে মনে করে সাদাকাতুল ফিতরাও টাকা দিয়ে আদায় হবে, তাও মহাভূল। টাকা দিয়ে এগুলো আদায় হবে না। বরং নির্ধারিত খাবার দিয়েই আদায় করা ওয়াজিব।
:
আপাতত এখানেই ইতিরেখা টানলাম। আর মাথায় কিছু আসছে না। আসলে হয়ত এখানে আপডেট করা হতে পারে। আল্লাহু মুস্তা’আন।
জাযাকুমুল্লাহু খইরন।
:
সোর্স সমূহ:—

সৌদির সর্বোচ্চ ফতোয়া বোর্ড, শাইখ ইব্রাহীম তুআইজিরীর কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ইসলামী ফিকাহ, এবং আরো কিছু সোর্সসমূহ।

 

*************************{সংগৃহীত করা হয়েছে””আবু তাউহা”” ভাই থেকে}******************************

Share: