ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি যে, তিনি সালাত শুরু করতে তাঁর দু হাত তাঁর দু কাঁধ পর্যন্ত উত্তোলন করতেন, তিনি রুকূতে যেতে এবং রুকূ থেকে মাথা তুলতেও তাই করতেন, কিন্তু দু সাজদাহর মাঝখানে হাত উত্তোলন করতেন না।
সুনানে ইবনে মাজাহ ৮৫৮, তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: বুখারী ৭৩৫-৩৬, ৭৩৮-৩৯; মুসলিম ৩৯০/১-২, তিরমিযী ২৫৫, নাসায়ী ৮৭৬-৭৮, ১০২৫, ১০৫৯, ১০৮৮, ১১৪৪; আবূ দাঊদ ৭২১-২২, ৭৪১; আহমাদ ৪৫২৬, ৪৬৬০, ৫০৬১, ৫২৫৭; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১৬৫, দারিমী ১২৫০, ১৩০৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৭১২, ৭১৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
————————————————————————————————————————————————
মালিক ইবনুল হুয়াইরিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাকবীরে তাহরীমা বলতেন তখন তাঁর দু হাত তাঁর উভয় কানের কাছাকাছি পর্যন্ত উঠাতেন। তিনি রুকূতে যেতেও তাই করতেন এবং রুকূ থেকে মাথা তুলতেও অনুরূপ করতেন।
সুনানে ইবনে মাজাহ ৮৫৯, তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: বুখারী ৭৩৭, মুসলিম ৩৯১-২, নাসায়ী ৮৮০-৮১, ১০২৪, ১০৫৬, ১০৮৫; আবূ দাঊদ ৭৪৫, আহমাদ ১৫১৭২, ২০০০৭; দারিমী ১২৫১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওযা ৬৭ সহীহ আবী দাউদ ৭৩০।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
————————————————————————————————————————————————
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি যে, তিনি সালাত শুরু করতে, রুকূতে যেতে এবং সাজদায় যেতে তাঁর দু হাত তাঁর দু কাঁধ বরাবর উত্তোলন করতেন।
সুনানে ইবনে মাজাহ ৮৬০, তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: বুখারী ৭৮৫, ৭৮৯, ৮০৩; মুসলিম ৩৯১-২, তিরমিযী ২৫৪, নাসায়ী ১০২৩, আবূ দাঊদ ৮৩৬, আহমাদ ৭১৭৯, ৭১৬০১, ১০১৪১, ১০৪৪০; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১৬৮, দারিমী ১২৩৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৭২৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
————————————————————————————————————————————————
আবূ হুমাইদ আস-সাইদী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) সহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর দশজন সাহাবীর উপস্থিতিতে বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সালাত সম্পর্কে তোমাদের চেয়ে অধিক অবগত। তিনি যখন সালাতে দাঁড়াতেন সোজা হয়ে দাঁড়াতেন এবং তাঁর দু হাত তাঁর কাঁধ বরাবর উঠাতেন, অতঃপর আল্লাহু আকবার বলতেন। তিনি যখন রুকূতে যাওয়ার ইচ্ছা করতেন তখনও তাঁর দু হাত তাঁর দু কাঁধ বরাবর উঠাতেন। অতঃপর তিনি যখন সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলতেন, তাঁর দু হাত উত্তোলন করতেন এবং সোজা হয়ে দাঁড়াতেন। তিনি দ্বিতীয় রাক্আতে দু সাজাদাহ থেকে যখন দাঁড়াতেন তখন তাকবীর বলতেন এবং তাঁর দু হাত তার কাঁধ বরাবর উঠাতেন, যেমনটি তিনি সালাত শুরু করার সময় করতেন।
সুনানে ইবনে মাজাহ ৮৬২ ,তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: বুখারী ৮২৮, তিরমিযী ২৬০, ৩০৪; নাসায়ী ১০৩৯, ১১৮১; আবূ দাঊদ ৭৩০, ৯৬৩; আহমাদ ২৩০৮৮, দারিমী ১৩০৭, ১৩৫৬; মাজাহ ৮৬৩, ১০৬১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
———————————————————————————————————————————————–
আব্বাস ইবনু সাহল আস-সাইদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ হুমাইদ, আবূ উসাইদ আস-সাইদী, সাহল ইবনু সা’দ ও মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামা (রাঃ) একত্র হয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত সম্পর্কে আলোচনা করেন। আবূ হুমাইদ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত সম্পর্কে তোমাদের চেয়ে অধিক অবগত। রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে দাঁড়িয়ে তাকবীর বলতেন এবং তাঁর উভয় হাত উপরে উঠাতেন। তিনি তাকবীর বলে রুকূতে যাওয়ার সময়ও উপরে উঠাতেন, অতঃপর দাঁড়াতেন এবং তাঁর দু হাত উপরে উঠাতেন ও সোজা হয়ে দাঁড়াতেন, যাতে সকল প্রত্যঙ্গ যথাস্থানে এসে স্থির হয়।
সুনানে ইবনে মাজাহ ৮৬৩, তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: বুখারী ৮২৮, তিরমিযী ২৬০, ৩০৪; নাসায়ী ১০৩৯, ১১৮১; আবূ দাঊদ ৭৩০, ৯৬৩; আহমাদ ২৩০৮৮, দারিমী ১৩০৭, ১৩৫৬; মাজাহ ৮৬২, ১০৬১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৭২৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
————————————————————————————————————————————————
আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ফরয সালাত আদায় করতে দাঁড়াতেন তখন তাকবীর বলতেন এবং তাঁর দু হাত তাঁর দু কাঁধ বরাবর উঠাতেন। যখন তিনি রুকূতে যাওয়ার ইচ্ছা করতেন, তখনও অনুরূপ করতেন, যখন রুকূ থেকে মাথা উঠাতেন, তখনও অনুরূপ করতেন। যখন তিনি দু রাকআত শেষ করে দাঁড়াতেন তখনও অনুরূপ করতেন।
সুনানে ইবনে মাজাহ ৮৬৪, তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: মুসলিম ৭৭১, তিরমিযী ৩৪২৩, নাসায়ী ৮৯৭, আবূ দাঊদ ৭৬০, আহমাদ ৭৩১, ৮০৫; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১৬৬, দারিমী ১২২৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৭২৯।
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
————————————————————————————————————————————————
ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মনে মনে ভাবছিলাম যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিভাবে সালাত পড়েন আমি তা অবশ্যই দেখবো। তিনি দাঁড়িয়ে কিবলামুখী হলেন এবং তাঁর দু হাত তাঁর দু কান বরাবর উঠালেন। তিনি রুকূতে যাওয়ার সময়ও তাঁর দু হাত অনুরূপভাবে উঠালেন। তিনি যখন রুকূ থেকে তাঁর মাথা উঠালেন তখনও তাঁর উভয় হাত অনুরূপভাবে উঠালেন।
সুনানে ইবনে মাজাহ ৮৬৭, তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: মুসলিম ২৭৪, ৪০১; তিরমিযী ৯৮, নাসায়ী ৮৭৯, ৮৮২, ৮৮৭, ৮৮৯, ৯৩২, ১১৫৯; আবূ দাঊদ ৭২৩-২৬, ৭২৮, ৭৩০, ৭৩৭, ৯৩৩, ৯৫৭, ৯৯৭; আহমাদ ১৮৩৬৫, ১৮৩৭৮, ১৮৩৮৮, ১৮৩৯৮; দারিমী ১২৪১, ১২৪৭, ১২৫২, ১২৫৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৭১৬-৭১৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
————————————————————————————————————————————————
আবূয যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) যখন সালাত শুরু করতেন, তখন তার উভয় হাত উপরে উঠাতেন। তিনি যখন রুকূ করতেন এবং রুকূ থেকে তার মাথা উঠাতেন, তখনও অনুরূপ করতেন। তিনি বলতেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এরূপ করতে দেখেছি। অধস্তন রাবী ইবরাহীম ইবনু তাহমান (রহঃ) তার দু হাত তার দু কান পর্যন্ত উঠালেন।
সুনানে ইবনে মাজাহ ৮৬৮।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
—————————————————————————————————————————————————-
আহমদ ইবনু হাম্বল …………. সালেম থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্নিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নামায আরম্ভ করার সময় তার দুহাত স্বীয় কাঁধ পর্যন্ত উঠাতে দেখেছি। অনুরূপভাবে এবং রুকূ করার সময় এবং রুকূ হতে মাথা উঠানোর পরও তাকে হাত উঠাতে দেখেছি। কিন্তু তিনি দুই সিজদার মাঝে হাত উঠাতেন না- (বুখারী, মুসলিম,তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ)।
সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) হাদিস নাম্বার:৭২১
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
————————————————————————————————————————————————ইবনুল মূসাফফা আল-হিমসী …….. আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাযে দাঁড়ানোর সময় নিজের দুই হাত কান পর্যন্ত উঠাতেন। তাকবীর বলে রুকুতে যেতেন এবং দুই হাতের উপরে তুলতেন। রুকূ হতে উঠার সময়ও স্বীয় উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলতেন। তিনি সিজদার মধ্যে হাত উঠাতেন না এবং প্রত্যেক রুকূর জন্য তাকবীর বলার সময় হাত উঠাতেন এবং এইরূপে নামায শেষ করতেন।
গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) হাদিস নাম্বার:৭২২
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
————————————————————————————————————————————————
উবায়দুল্লাহ্ ইবনু উমার ………. আবূ ওয়ায়েল ইবনু হূজর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে নামায আদায় করি তাকবীর বলার সময় নিজের দুই হাত উঠাতেন পরে তিনি তার হাত কাপড়ের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে ডান হাত দিয়ে বাম হাত ধরতেন। রাবী বলেন, অতঃপর যখন রুকূর ইরাদা করেন, তখন স্বীয় হাত দু’খানা বের করে উপরে উঠাতেন। তিনি রুকু হতে মাথা উঠানোর সময়ও দুই হাত উপরে উঠান। অতঃপর তিনি সিজদায় যান এবং স্বীয় চেহারা দুই হাতের তালুর মধ্যবর্তী স্হানে স্হাপন করেন। অতঃপর তিনি সিজদা হতে মাথা উঠাবার সময়ও স্বীয় হাত দুইখানা উত্তোলন করেন। এভাবে তিনি তাঁর নামায শেষ করেন। রাবী মুহাম্মাদ বলেন, এসম্পর্কে আমি হাসান ইবনু আবূল হাসানকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এমনি ছিল রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামায আদায়ের নিয়ম। যে ব্যক্তি এর অনুসরণ করেছে- সে তো করেছে এবং যে ব্যক্তি তা ত্যাগ করেছে- সে তো তা ত্যাগ করেছে- (মুসলিম)। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হাম্মাম- . ইবনু জাহাদা হতে বর্ণ্না করেছেন। কিন্তু ঐ বর্ণনায় সিজদা হতে মাথা উঠানোর সময় হাত উঠাবার কথা উল্লেখ নেই।
গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) হাদিস নাম্বার:৭২৩
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
————————————————————————————————————————————————
মূসা’দ্দাদ ……….. ওয়ায়েল ইবনু হুজর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামায পড়ার নিয়ম দেখাব। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে তাকবীর বলে নিজের উভয় হাত কান পর্যন্ত উত্তোলন করেন। অতঃপর তিনি স্বীয় বাম হাত ডান হাত দিয়ে ধরেন এবং রুকূ করার সময় উভয় হাত ঐরূপ উত্তোলন করেন। অতঃপর তিনি তাঁর দুই হাত দুই হাটুর উপর রাখেন। রুকূ হতে মাথা উঠাবার সময় তিনি উভয় হাত তদ্রুপ উত্তোলন করেন। অতঃপর তিনি সিজদায় স্বীয় মাথা দুই হাতের মধ্যবর্তী স্হানে রাখেন এবং বাম পা বিছিয়ে বসেন। অতঃপর তিনি তাঁর বাম হাত বাম রানের উপর এবং ডান হাত ডান রানের উপর বিচ্ছিন্নভাবে রাখেন। পরে তিনি স্বীয় ডান হাতের কনিষ্ঠ ও অনামিকা অংগুলিদ্বয় আবদ্ধ করে রাখেন এবং মধ্যমা ও বৃদ্ধাংগুলি বৃত্তাকার করেন এবং শাহাদাত অঙ্গুলি (তর্জনী) দ্বারা ইাশারা করেন- (নাসাঈ, ইবনু মাজাহ)। আমি তাদেরকে এভাবে বলতে দেখেছি। আর বিশর নিজের মধ্যমা ও বৃদ্ধাগুলি দ্বারা বৃত্ত করেন এবং তর্জনী দ্বারা ইশারা করেন।
সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) হাদিস নাম্বার:৭২৬
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
————————————————————————————————————————————————
হাফস ইবনু উমার ……….. মালিক ইবনুল-হুয়ায়রিছ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- কে তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় হাত উঠাতে দেখেছি। আমি তাকে রুকূতে গমনকালে এবং তা হতে উঠার সময় স্বীয় হস্তদ্বয় কানের উপরিভাগ পর্যন্ত উঠাতে দেখেছি- (বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ)।
সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) হাদিস নাম্বার:৭৪৫
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
————————————————————————————————————————————————
ইবনু মুআয ……….. বশীর ইবনু সাহীক হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন, যদি আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে থাকতাম, তবে তাঁর বগল দেখতে পেতাম (অর্থাৎ তিনি হাত এতটা পৃথক রাখতেন)। ইবনু মুআয তাঁর হাদীছে আরো উল্লেখ করেছেন যে, রাবী নাহীক বলেন, তুমি কি দেখ না। আবূ হুরায়রা (রাঃ) নামাযে রত থাকায় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্মুখে গমন করতে পারেন না। রাবী মূসা তাঁর বর্ণিত হাদীছে আরও বর্ণনা করেছেন যে, তাকবীর বলার সময় দুই হাত উঠাতেন- (নাসাঈ)
সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) হাদিস নাম্বার:৭৪৬
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
————————————————————————————————————————————————
সালিম (রহঃ) থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সলাত আরম্ভকালে নিজের দু’ হাত স্বীয় কাঁধ পর্যন্ত উঠাতে দেখেছি। অনুরূপভাবে রুকু‘তে গমনকালে এবং রুকু’ থেকে মাথা উঠানোর পরও তাঁকে হাত উঠাতে দেখেছি। তবে তিনি দু’ সিজদার মাঝে হাত উঠাতেন না।[1]
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত) হাদিস নাম্বার:৭২১
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
————————————————————————————————————————————————
‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সলাতে দাঁড়ানোর সময় স্বীয় দু’ হাত কান পর্যন্ত উঠাতেন। তিনি তাকবীর বলে রুকু‘তে গমনকালেও দু’ হাত উপরে উঠাতেন। রুকু’ থেকে উঠার সময়ও দু’ হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে ‘‘সামিআল্লাহু লিমান্ হামিদাহ্’’- বলতেন। তবে তিনি সিজদার সময় হাত উঠাতেন না। প্রত্যেক রুকুর জন্য তাকবীর বলার সময় দু’ হাত উঠাতেন এবং এভাবেই সলাত সম্পন্ন করতেন।
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত) হাদিস নাম্বার:৭২২
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
————————————————————————————————————————————————আবূ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সলাত আদায় করেছি। তিনি তাকবীর বলার সময় স্বীয় দু’ হাত উত্তোলন করতেন। অতঃপর স্বীয় হাত কাপড়ে ঢুকিয়ে ডান হাত দ্বারা বাম হাত ধরতেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি রুকু‘তে গমনকালে স্বীয় দু’ হাত বের করে উপরে উঠাতেন এবং রুকু’ থেকে মাথা উঠানোর সময়ও দু’ হাত উপরে উঠাতেন। তারপর সিজদাতে স্বীয় চেহারা দু’ হাতের তালুর মধ্যবর্তী স্থানে রাখতেন। অতঃপর সাজদাহ্ থেকে মাথা উত্তোলনের সময়ও দু’ হাত উত্তোলন করতেন। এরূপে তিনি তাঁর সলাত শেষ করতেন।
বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ বলেন, আমি হাসান ইবনু হাসানকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সলাত আদায়ের পদ্ধতি এরূপই ছিল। যে লোক এর অনুসরণ করেছে- সে তো করেছে আর যে তা বর্জন করেছে- সে তো তা বর্জন করেছে।[1]
সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এই হাদীস ইবনু জাহাদাহ হতে হাম্মাদ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তাতে সাজদাহ্ থেকে মাথা উঠানোর সময় হাত উত্তোলনের কথা উল্লেখ নেই।
[1] মুসলিম (অধ্যায়ঃ সালাত, তাকবীরে তাহরিমার পর বাম হাতের উপর ডান হাত রাখা), আহমাদ (৪/৩১৭), ইবনু খুযাইমাহ (৯০৫), সকলে মুহাম্মাদ ইবনু জুহাদাহ সূত্রে।
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত) হাদিস নাম্বার:৭২৩
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
————————————————————————————————————————————————
ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি অবশ্যই তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সলাত আদায়ের পদ্ধতি দেখাব। তিনি বলেন, (তা হচ্ছে এরূপঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে তাকবীর বলে স্বীয় দু’ হাত কান পর্যন্ত উত্তোলন করেন। তারপর ডান হাত দিয়ে স্বীয় বাম হাত ধরেন এবং রুকু‘তে গমনকালে স্বীয় দু’ হাত তদ্রুপ উত্তোলন করেন। অতঃপর তিনি তাঁর উভয় হাতকে হাঁটুদ্বয়ের উপর রাখেন। রুকু’ হতে মাথা উত্তোলনের সময়ও তিনি উভয় হাত ঐভাবে উত্তোলন করেন। এরপর তিনি তাঁর বাম পা বিছিয়ে দিলেন এবং বাম হাত বাম ঊরুর উপর এবং ডান হাত ডান ঊরুর উপর আলাদাভাবে রাখেন। অতঃপর তিনি তাঁর ডান হাতের কনিষ্ঠ ও অনামিকা অঙ্গুলিদ্বয় আবদ্ধ করে রাখেন এবং মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুলি বৃত্তাকার করেন এবং শাহাদাত অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করেন। (বর্ণনাকারী বলেন), আমি তাকে এভাবে বলতে দেখেছি। আর বিশর নিজের মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা বৃত্তাকার করেন এবং শাহাদাত অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করেন।[1]
সহীহ।
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত) হাদিস নাম্বার:৭২৬
[1] তিরমিযী (অধ্যায়ঃ সালাত, অনুঃ তাশাহুদে বসার নিয়ম, হাঃ ২৯২, ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ), নাসায়ী (৮৮৮), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ সালাত ক্বায়িম, অনুঃ রুকু‘র সময় রফ‘উল ইয়াদাইন করা, হাঃ ৮৬৭), আহমাদ (৪/৩১৬, ৩১৯) সকলে আসিম সূত্রে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
————————————————————————————————————————————————
আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরয সলাতে দাঁড়িয়ে তাকবীর বলে তাঁর দু’ হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন। তিনি কিরাত শেষে রুকু‘তে গমনকালে এবং রুকু‘ হতে উঠার সময়ও অনুরূপ করতেন। তবে বসে সলাত আদায়কালে তিনি এরূপ হাত তুলতেন না। তিনি সিজদার পর দাঁড়ালে হাত উঠিয়ে তাকবীর বলতেন।[1]
হাসান সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আবূ হুমায়িদ আস-সাঈদী (রাঃ)-এর হাদীসে রয়েছেঃ যখন তিনি সলাতের দুই রাক‘আত আদায় শেষে দাঁড়াতেন, তখন তাকবীর বলে তাঁর দু’ হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন, যেরূপ তিনি সলাত আরম্বকালে উঠাতেন।
[1] তিরমিযী (অধ্যায়ঃ দা‘ওয়াত, হাঃ ৩৪২৩, ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ) ইবনু মাজাহ, (অধ্যায়ঃ সালাত ক্বায়িম, অনুঃ রফ‘উল ইয়াদাইন ইয়াদাইন, হাঃ ৮৬৪) আহমাদ (১/৯৩) সকলে সুলাইমান ইবনু দাঊদ সূত্রে। আহমাদ শাকির বলেন, এর সনদ সহীহ।
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত) হাদিস নাম্বার:৭৪৪
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
————————————————————————————————————————————————
মালিক ইবনুল হুওয়াইরিস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাকবীরে তাহরীমা বলার সময়, রুকু‘তে গমনকালে এবং রুকু‘ হতে উঠার সময় দু’ হাত কানের উপরিভাগ পর্যন্ত উঠাতে দেখেছি। [1]
সহীহ : মুসলিম।
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত) হাদিস নাম্বার:৭৪৫
[1] মুসলিম (অধ্যায়ঃ সালাত, অনুঃ তাকবীরে তাহরীমা ও রুকু‘র সময় কাঁধ পর্যন্ত দু’ হাত উত্তোলন মুস্তাহাব), নাসায়ী (২৭০৯), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ সালাত ক্বায়িম, অনুঃ রুকু‘তে যাওয়ার সময় এবং রুকু‘ থেকে মাথা উঠানোর সময় রফ‘উল ইয়াদাইন করা, হাঃ ৮৫৯)।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
***{সংগ্রহঃ আসাদ রনি}***