সকল মুহাদ্দিছই কি ফক্বীহ
বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় কমেন্ট করি। বাট কমেন্ট গুলো সময়ের গর্ভে হারিয়ে যায়। অথচ কমেন্ট গুলো করতেও কিছু পরিশ্রম ও সময় ব্যয় হয়েছে। তাই এক ভাইয়ের পরামর্শে কমেন্ট সংরক্ষণ করার চিন্তা মাথায় আসে। সেখান থেকে আজকের করা কয়েকটা কমেন্টকে মার্জিত করে নোটটি লিখলাম।
প্রথমে একটা উদাহরণ দেখি। নিজেরই উদাহরণ দেই। আমি ছোট বেলায় কোরআন পড়া শিখেছি, তারপর আব্বুর কাছে উর্দু পড়া শিখেছি, তারপর আম্মার কাছে বাংলা ও ইংরেজী পড়া শিখেছি। তারপর টানা ৯ বছর বাংলা, ইংরেজী, আরবী, হাদীছ, কুরআন সব একসাথে পড়েছি। ক্লাস ভিত্তিক নওদাপাড়া মাদরাসাতে। দাখিল দিয়েছি, আলিম দিয়েছি। একটাতে গোল্ডেন একটাতে শুধু এ প্লাস। জি ডব্লিউ ও সাইফুরস দুই ইংলিশ কোচিং সেন্টারে ইংলিশ কোচিং করেছি। কোর্স শেষে একমাত্র মাদরাসার ছাত্র হিসেবে পঞ্চাশোর্ধ স্কুলের ছাত্রদের মাঝে প্রথম স্থান অধিকার করি। ফালিল্লাহিল হামদ। এছাড়া ইংরেজী প্রাইভেট পড়েছি বহু বছর শাহীন স্যার, দিপু স্যার, শফিক স্যার। গণিত (পাটি গণিত, বীজ গণিত, ত্রিকোনমিতি, পরিমিত, জ্যামিতি) প্রাইভেট পড়েছি ইকবাল স্যারের কাছে। গণিতে খুব কম সময় গেছে ফুল মার্ক পাইনি। আমি জন সম্মুখে প্রথম বক্তব্যও দিয়েছিলাম ইংলিশে। আমার ভিতর এতটুকু হিম্মাত ছিল যে, কোন স্কুলের ছাত্র আমার সম ক্লাসের যদি হয় তাহলে গণিত ও ইংলিশে একদম হারিয়ে দিবে এমন হবেনা কিছুটা হলেও লড়াই হবে। বাংলা শিখেছি ইন্তাজ স্যারের কাছে । বাংলা সাহিত্য প্রচুর পড়তাম। সৈয়দ মুজতবা আলী, নজরুল, হুমায়েন আহমেদ, এই যুগের যত কলামিস্ট আছে তাদের লেখা পড়তাম নিয়মিত। সবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে রাজশাহীতে ইসলামিক স্টাডিজে ফাস্ট হয়েছিলাম। একমাস ক্লাস করে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিলাম। আব্দুল খালেক্ব ছালাফী হাফিঃ ও বদিউজ্জামান (রহঃ) দুই উস্তাদের নিকট আবার মিযান থেকে শুরু করলাম। এক বছরে প্রচুর বই পড়লাম। দুরুসুল বালাগাত, মুখতাসারুল মাআনী, তাফসীরে বায়যাভী, উসূলে তাফসীর, উসূলে হাদীছ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ সহ যত বই পড়া সম্ভব হল দুই উস্তাদের নিকট ব্যক্তিগতভাবে পড়লাম। উল্লেখ্য যে আরবী গ্রামারের বইগুলো প্রথমেই আব্বুর কাছে একবার এবং মাদরাসার ক্লাসে একবার মোট দুইবার করে শেষ করা ছিল। তারপর আমার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হল। উস্তাদদ্বয়ের পরামর্শে ভারত চলে গেলাম। কুরআন হিফয করে, দেওবান্দ গেলাম। চারমাসের আরবী সাহিত্য কোর্স করলাম। দেওবান্দে ভর্তি পরীক্ষা দিলাম। মাত্র দেড় মাসের প্রস্তুতী ছিল। এই জন্য টেনশনে ছিলাম চান্স হবে কিনা? আলহামদুলিল্লাহ চান্স হয়। তারপর শুরু হয় আরেক যুগ। মিশকাত আগে দুইবার পড়েছি। আব্বুর কাছে বাড়ীতে ও মাদরাসায়। তাই তৃতীয় বারের মত মিশকাত পড়তে ভাল লাগছিল না। নিজে থেকে বুঝি না বুঝি ক্লাসের পড়ার পাশাপাশি মিশকাতের তাহক্বীক্ব করা শুরু করলাম। নিজে তাহক্বীক্ব করতাম আবার তাহক্বীক্ব শেষে আলবানী রহঃ-এর তাহক্বীক্ব-এর সাথে মিলিয়ে দেখতাম। কিতাবুল লিবাস পর্যন্ত তাহক্বীক্ব করি। যা এখনো ৫ টা খাতায় হাতে লিখা আমার কাছে আছে। তারপর আসে দাওরার বছর। শায়খ নিয়ামাতুল্লাহ আজমী, মুফতী হাবিবুর রহমান আজমী ও সাঈদ আহমাদ পালানপুরী হাফিজাহুমুল্লাহ তিনজনের নিকট সীমাহীন ইস্তিফাদা করি। মিশকাতের বছর নাম্বার ভাল থাকায় দাওরার বছর ১৫০০ ছাত্রের মধ্যে প্রথম বেঞ্চে বসার সুযোগ পেয়েছিলাম অফিসের পক্ষ থেকে। এই জন্য ইস্তিফাদা আরো মযবূত হয়। দেওবান্দ শেষে হতেই যখন আমি হতাশার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছিলাম। সিদ্ধান্তে নিতে পারছিলাম না কি করব? তখন আসল মদীনায় চান্স পাওয়ার খবর। এখানে এসে অধিকাংশ ছাত্র প্রথমে ভাষায় ভর্তি হয়। কিন্তু ভাষার বইগুলো আব্বু আমাকে ছোটবেলায় বিভিন্ন ছুটিতে ছুটিতে অগণিতবার শেষ করিয়েছেন। তাই সরাসরি কুল্লিয়া হাদীছে ভর্তি হলাম। দেওবান্দের দুই বছর ও মদীনার আড়াই বছর এই মাত্র সাড়ে চার বছর আমার ইলমে হাদীছ নিয়ে চর্চার বয়স। এখনো ধ্যান-জ্ঞান, নেশা-পেশা ইলমে হাদীছ। আল্লাহর নিকট দুয়া করি যেন ইলমে হাদীছ চর্চা করতে করতেই মৃত্যু হয়।
এত লম্বা কাহিনী কেন বললাম? এখন মানুষ যদি আমার হাদীছ নিয়ে পড়াশোনা দেখে বলে আমি বাংলা জানিনা, যদি বলে ইংরেজী জানিনা, গণিত জানিনা। তাহলে কেমন দেখাবে ? আমি অন্তত আলহামদুলিল্লাহ দশম শ্রেণী পর্যন্ত স্কুলের ছাত্রদের বাংলা, ইংরেজী, গণিত পড়াতে পারব। তাহলে এই জাতীয় মন্তব্য অবশ্যই জুলুম হবে। তাহলে কল্পনা করেন আমার মত একজন অধম ও সাধারণ তালেবে ইলমের ক্ষেত্রে যদি এমন হয় । তাহলে আপনি কি বলবেন একজন মুহাদ্দিছ ইমাম তিনি এক লাফে মুহাদ্দিছ হয়েছেন? তিনি ফিক্বহ বুঝেন না। আল্লাহু আকবার। আমাদের যুগে আমরা যে সময়টা বাংলা-ইংরেজীতে দিয়েছি তাদের যুগে তারা সে সময় কিসে দিয়েছেন জানেন? সকল মুহাদ্দিছের জীবনী পড়ুন! তাদের পাঠ শুরু হত কুরআন হিফয দিয়ে। তারপর উস্তাদের কাছে তারা তাফসীর পড়তেন, হাদীছ পড়তেন, হাদীছের ব্যাখ্যা পড়তেন। তারপর হয়তো ধীরে ধীরে সব কিছু ছেড়ে তারা হাদীছের তাহক্বীক্বে মনোনিবেশ করেন। তার মানে যদি কেউ বলে তারা হাদীছের ফিক্বহ জানতেন না তাহলে কথাটা কেমন হবে? কল্পনা করেন।
এবার আসি সকল মুহাদ্দিছ ফক্বীহ এই কথাটা আমি গতকাল কেন বললাম? গতকাল নোটটি লেখার জন্য পড়াশোনা করতে গিয়ে মুহাদ্দিছ হওয়ার সংজ্ঞার উপর আমার চোখ যায়। বহুবার সংজ্ঞাটা মুখস্থ করেছি বাট এভাবে কোনদিন ভাবিনি।
المُحَدِّث: من يشتغل بعلم الحديث رواية ودراية ويطلع على الكثير من الروايات وأحوال رواتها.
এখানে রিওয়ায়েত ও দিরায়াত দুটি শব্দ আছে। এই দুটি শব্দের ব্যাখ্যা কি তা নিয়ে হালকা ইখতিলাফ আছে । ইমাম ইবনুল আকফানী বলেছেন রিওয়ায়াত তথা মাতান মুখস্থ আর দিরায়াত তথা সানাদ ও রাবীদের অবস্থা মুখস্থ । কিন্তু বেশী বিশুদ্ধ এটাই যে রিওয়ায়াত দ্বারা রিজাল সানাদ উদ্দেশ্য আর দিরায়াত দ্বারা হাদীছের ফিক্বহ বা ফাহম উদ্দেশ্য। তাহলে কি দাড়াল যিনি এই দুটি বিষয়ে পারদর্শী হবেন তিনি মুহাদ্দিছ।
যেহেতু এই পরিভাষার বিষয়ে সকলেই একমত সেহেতু পরিভাষা ঠিক রাখতে বাধ্যতা মূলত বলতে হবে সকল মুহাদ্দিছ ফক্বীহ। যদি কখনো কারো মনে হয় ইনি মুহাদ্দিছ বাট ফক্বীহ নন তাহলে তার জন্য মুহাদ্দিছ পরিভাষা ব্যবহার না করাই ভাল অন্য পরিভাষা ব্যবহার করা যায়- যেমন হাফিয, নাকিদ . . . . ইত্যাদী।
দারুল উলুম দেওবান্দের সম্মানিত শিক্ষক উস্তাদে মুহতারাম সাঈদ আহমাদ পালানপুরী হাফিযাহুল্লাহ আমাদের দারসে বলেছিলেন, ইমাম বুখারী ফক্বীহ নন। দলীল হিসেবে পেশ করেছেন ইমাম তিরমিযী তার থেকে শুধু রিজালের বিষয়ে মন্তব্য নকল করেন বাট মাসালা নকল করেন না। আহলুর রায়গণের মাঝে সেই আদি কাল থেকে এটা প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিছগণ ফক্বীহ হননা। ইমাম আহমাদ রহ: কে আবু বকর আল-জাসসাস ফক্বীহ মনে করতেন না। এমনকি হানাফী মাযহাবের ফিক্বহ ও উসূলের কিতাবগুলোতে কালে ভদ্রে ইমাম আহমাদের নাম থাকে। সবাই বাকী তিন ইমামের কওল নিয়ে ব্যস্ত। ইমাম ইবনু রজব আলী বিন মাদিনীকে গইর ফক্বীহ বলেছেন। ইবনু হাজার তার জবাব দিয়েছেন। তেমনি অনেকেই ইয়াহিয়া বিন মাঈন ও আব্দুর রহমান বিন মাহদীকে গইর ফক্বীহ বলেছেন কিন্তু পরে দেখা গেছে তারাও ফক্বীহ বাট তাদের ফিক্বহ ইমাম শাফেয়ীর ফিক্বহের মত উচু ছিলনা। আর এটাই সবচেয়ে ইনসাফ পূর্ণ সমাধান। সকল মুহাদ্দিছ (ইছতিলাহান ) ফক্বীহ বাট তাদের কারো ফিক্বহ উচূ কারো ফিক্বহ অত উচু নয়। আল্লাহ যাকে যেমন ফিক্বহ দিয়েছেন। ইমাম মাজিশুনের একটি কথা দিয়ে শেষ করছি- ابن الماجشون يقول: كانوا يقولون: لا يكون إماما في الفقه مَن لم يكن إماما في القرآن والآثار، ولا يكون إماما في الآثار مَن لم يكن إماما في الفقه. তথা কেউ ফক্বীহ ইমাম হতে পারেনা যতক্ষণ না সে কুরআন ও হাদীছে ইমাম হয় তেমনি কেউ হাদীছে ইমাম হতে পারেনা যতক্ষণ না সে ফিক্বহে ইমাম হয়।
আলবানী (রহঃ) বলেন
لأن المحدث فقيه بطبيعة الحال، هل كان أصحاب النّّبي صلى الله عليه و سلم يدرسون الفقه أم لا ؟ و ما هو الفقه الذي كانوا يدرسونه ؟ هو ما كانوا يأخذونه من رسول الله صلى الله عليه و سلم؛ إذن هم يدرسون الحديث. أما هؤلاء الفقهاء الذين يدرسون أقوال العلماء و فقههم !! و لا يدرسون حديث نبيهم؛ الذي هو منبع الفقه، فهؤلاء يقال لهم : يجب أن تدرسوا علم الحديث، إذ إننا لا نتصور فقها صحيحاً بدون معرفة الحديث؛ حفظا و تصحيحاً و تضعيفاً، و في الوقت نفسه لا نتصور محدثاً غير فقيه! فالقرآن و السنة هما مصدر الفقه؛ كل الفقه. أما الفقه المعتاد اليوم هو فقه العلماء، و ليس فقه الكتاب و السنة. نعم؛ بعضه موجود في الكتاب و السنة، و بعضه عبارة عن آراء و اجتهادات، لكن في الكثير منها مخالفة منهم للحديث؛ لأنهم لم يحيطوا به علماً )).
সারর্মম হচ্ছে মুহাদ্দিছগণ অটোমেটিক ফক্বীহ হন। ছাহাবীরা কার কাছে ফিক্বহ পড়েছেন؟ তারা রাসূলের হাদীছে পড়েছেন। আজকের ফিক্বহ তো ওলামাদের ইখতিলাফ জানা তাদের কওল পড়া কিন্তু আসল ফিক্বহ তো হাদীছেই আছে।
আবু বকর ওমর রা: তাদের কোন মন্তব্য বা ফতোয়া কি কোন বইয়ে পাবেন? পাবেন না। অথচ ইবনু ওমর ও ইবনু আব্বাস রা: -এর ফতোয়ায় বই ভর্তি। তার মানে কি তারা ফক্বীহ ছিলেন না ? এটা ভাবাও ভয়াবহ রকমের বেয়াদবী মনে হয় আমার কাছে। তেমনি আবু হুরাইরা রা: ফক্বীহ কিনা এগুলো নিয়ে যুগে যুগে কত ইখতিলাফ হয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নাই। বাট বর্তমানে মুহাক্কিকগণ এমনকি হানাফী ওলামারাও এই সিদ্ধান্তে পৌছেছেন তার মত মহান ছাহাবীকে গয়র ফক্বীহ বলা বেয়াদবী। হ্যাঁ বুঝ ও সুক্ষ্মতার পার্থক্য আল্লাহ প্রদত্ত। আর আমি আলবানী রহঃ-এর কওল থেকে যেটা বুঝেছি সেটা হচ্ছে ছাহাবীগণ (যারা সর্ব সম্মতিক্রমে ফক্বীহ) আলাদা ভাবে ফিক্বহ পড়েননি। বরং হাদীছ ও কুরআন রাসূলের সহচর্য আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান দ্বারা তারা ফক্বীহ হয়েছেন। তেমনি একজন মুহাদ্দিছ কিভাবে মুহাদ্দিছ হতে পারে? একলাফে তো আর মুহাদ্দিছ হন নি। তিনি অবশ্যই উস্তাদগণের নিকট হাদীছ পড়েছেন, হাদীছ বুঝেছেন, ছাহাবাদের কওল পড়েছেন, মুখস্থ করেছেন, উস্তাদের কাছে কুরআন বুঝেছেন । সকলেই তো সর্বাগ্রে কুরআনের হাফিয হন . . ফক্বীহ হওয়ার জন্য আর কি লাগবে ? সুতরাং মুহাদ্দিছগণ স্বভাবজাত ভাবে ফক্বীহ । তবে হ্যা আল্লাহ প্রদত্ত সুক্ষ্মতার পার্থক্য সবার মাঝে আছে। ওয়াল্লাহ আলামু মিন্না।
আজকের পোস্টে আরো একটা কথা যোগ করতে চাই। মুহাদ্দিছগণ শুধু ফক্বীহ নন বরং বলা যায় বর্তমান যে ফিক্বহ শাস্ত্র তার জন্ম তারা দিয়েছেন। আপনি যদি দেখেন সর্ব প্রথম ফিক্বহের মাসায়েল নিয়ে কোন গ্রন্থ লিপিবদ্ধ হয়েছিল। আপনি খুজলে দেখবেন হাদীছের গ্রন্থ গুলোই ফিক্বহী অধ্যায় অনুযায়ী সাজিয়ে মুহাদ্দিছগণই সবার প্রথম লিখেছেন। সুনানে আবু দাঊদ শুধু ফিক্বহী মাসায়েল কে উদ্দেশ্য করে ফিক্বহী অধ্যায় অনুযায়ী সাজিয়ে লেখা। তেমনি সুনানে তিরমিযী সহ হাদীছের অধিকাংশ কিতাব ফিক্বহী মাসায়েল-কে সামনে রেখে সেই অনুযায়ী অধ্যায় সাজিয়ে লেখা। আমি আরেকটু খুলে বলি মুহাদ্দিছগণের খুব কম বই এমন পাবেন যেগুলোতে লেখা আছে ছহীহ হাদীছের অধ্যায়, দুর্বল হাদীছের অধ্যায়, মযবূত রাবীগণের অধ্যায়, দুর্বল রাবীগণের অধ্যায়। অধিকাংশ বইয়ে তাদের অধ্যায়ের নাম অযুর অধ্যায়, অযুতে বিসমিল্লাহ বলা অধ্যায়, পবিত্রতা অধ্যায়, জানাযা অধ্যায়, ছালাতে হাত বাধা অধ্যায়, . ….ইত্যাদী । তথা প্রত্যেকটি হাদীছের গ্রন্থ মূলত একটি ফিক্বহের গ্রন্থ। তাদের এই বইগুলোর অনেক পরে আলাদা ভাবে ফিক্বহী গ্রন্থ রচনা করা হয়েছে। সুতরাং মুহাদ্দিছগণ শুধু ফক্বীহ নন বরং ফিক্বহ শাস্ত্রের জন্মদাতা বললে অত্যুক্তি হবেনা।।
লেখকঃ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক।
ছাত্রঃ মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা, সৌদিআরব।।
ছাত্রঃ মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা, সৌদিআরব।।