ইবনে মাসূদ বলেন, “আমি একদিন নাবী (সাঃ)- কে বললাম”
শেষ সময় চেনার কোনও জ্ঞান আছে কি?
তিনি (সাঃ) বললেন “হ্যা ইবনে মাসূদ!”
এসম্পর্কিত বহু নিদর্শন রয়েছে তাদের মধ্যে একটি হল
১. বাচ্চারা ভীষণ বদমেজাজি হবে
২. বৃষ্টি হবে আম্লিক, অল্মবৃষ্টি
৩. তুমি দেখবে, খারাপ লোকেরা সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে!
“ও ইবনে মাসূদ ঐ লক্ষণগুলোর আরও একটি হলো যে
৪. লোকেরা বিশ্বাসঘাতকদের বিশ্বাস করবে এবং বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের বিশ্বাসঘাতক মনে করবে।
৫. সত্যবাদীদের মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করা হবে এবং মিথ্যাবাদীদের বলা হবে সত্যবাদী।
৬. থালাসমুহ ক্রমাগত যোগাযোগ করতে থাকবে যা স্যাটেলাইট যোগাযোগ বোঝাতে ব্যাবহার করা হয়। এবং মানুষেরা তখন পারিবারিক বন্ধন ছিন্ন করবে ।
৭. ও ইবনে মাসূদ, তুমি আরো দেখবে মুনাফিকরা শাসন করবে এবং
৮. সর্বাপেক্ষা মন্দ লোকেরা বাজার নিয়ন্ত্রন করছে
৯. মসজিদসমুহ অলংকৃত করা হবে, কিন্তু হৃদয়সমূহ হবে কুৎসিত!
১০. বিশ্বাসীদের কুৎসিত ছাগলের চেয়েও বেশি অপদস্থ করা হবে! যেন তাঁরা কিছুই না!
১১. তুমি দেখবে পুরুষ ও স্ত্রী সমকামীতা প্রসার হবে
১২. এবং অল্পবয়স্ক লোকেরা প্রচুর সম্পদশালী হবে
১৩. নারীদের নীতিভ্রষ্ট করতে আন্দোলন করা হবে
১৪. তুমি দেখবে সভ্যতার ধ্বংস এবং পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক সভ্যতা
১৫. তখন বাদ্যযন্ত্র ব্যপক ভাবে ছড়িয়ে পরবে।
১৬. বাদ্যযন্ত্রগুলো তাদের মাথায় চড়ানো থাকবে
তিনি (সাঃ) বলেছিলেন,
১৭. আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী অনেক দেখতে পাবে
১৮. এবং লোকেরা ঠাট্টা-তামাশা ও বিদ্রুপ করবে
১৯. তোমরা দেখবে বহু শিশু বিবাহ বন্ধন ছাড়াই জন্ম নিবে
নাবী সাঃ বলেছিলেন,
২০. সেসময় ফিতনাগুলো মাদুরের আকৃতিতে প্রদর্শিত করা হবে এর দুটি সীমারেখা থাকবে (টেলিভিশন সেটএর কথা বলছে)
২১. ফিতনাগুলো তাদের সামনে মাদুর আকৃতিতে দেখানো হবে
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন,
২২. জাহান্নামে দুই ধরনের লোক আছে যাদের আমি এখনও দেখিনি।
তুমি গরুর লেজের মত চাবুক হাতে কিছু লোকদের দেখবে তাঁরা এর দ্বারা অন্যদের প্রহার করবে।
সে সময় নারীরা পোশাক পরেও উলঙ্গ থাকবে, তাঁরা কোমর দুলিয়ে হাঁটবে এবং অন্যদেরকে তাদের দিকে আকর্ষণ করবে
তিনি (সাঃ) বলেছিলেন,
২৩. ঐ মেয়েদের চুল হবে “বখতের” লোমশ উটের মত। এই লোকগুলো জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
২৪. আমার উম্মাহর কিছু অংশ মদপান করবে এবং মদকে অন্য নামে ডাকবে।
আউজুবিল্লাহি মিনাশশাইতনির রাযীম।
হে আল্লাহ্, আমি বার্তা পৌছে দিয়েছি।
আল মুয়াযযাম আল কিবার আত-তাবারানি হাদিস নং ১০৪১০