যারা সন্তানদের স্বলাতের দিকে খেয়াল রাখেনা, যারা ফজর স্বলাত দেরি করে আদায় করে তাদের ব্যপারে হুকুম কি?
==================================================================
সাবধান! স্বলাতের ব্যপারে খুবই সাবধান।
পরিবারের কোন সন্তান যদি বেনামাযী হয়, তবে কর্তার উপর আবশ্যক হচ্ছে তাদেরকে নামাযের ব্যাপারে বাধ্য করা। তিনি তাদেরকে নামাযের নির্দেশ দিবেন, বুঝাবেন, প্রয়োজনে তাদেরকে প্রহার করবেন।
কেননা নবী (সাঃ)বলেন, وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا لِعَشْرِ سِنِينَ “দশ বছর বয়সে ছালাত আদায় না করলে তাদেরকে প্রহার করবে।”
এতে যদি কাজ না হয়, তবে (ইসলামী রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিযুক্ত) দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছে তাকে সোপর্দ করবেন। যাতে করে তাকে ছালাত আদায় করতে বাধ্য করা হয়। এক্ষেত্রে চুপ থাকা জায়েয হবে না।
কেননা এতে অন্যায় কাজে সমর্থন হয়ে যায়। ছালাত পরিত্যাগ করা কুফরী। ছালাত আদায় না করলে ব্যক্তি ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে। বেনামাযী কাফের চিরকাল জাহান্নামী। তাই সে মৃত্যু বরণ করলে তাকে গোসল দেয়া, জানাযা পড়া বা মুসলমানদের গোরস্থানে দাফন করা যাবে না।
★অপরপক্ষে যারা ফজর ছালাত বিলম্ব করে আদায় করে এমনকি তার সময় পার হয়ে যায়- যদি বিশ্বাস করে যে, এরূপ করা বৈধ, তবে তা আল্লাহ্র সাথে কুফরী হল।
কেননা বিনা কারণে ছালাতের নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত করা হালাল বা জায়েয, যে ব্যক্তি একথা অন্তর থেকে বিশ্বাস করবে সে কাফের। এই কারণে যে, সে কুরআন, সুন্নাহ্ ও মুসলমানদের ইজমার বিরোধীতা করেছে।
কিন্তু যদি তা হালাল না ভেবে বিশ্বাস করে যে, দেরী করে ছালাত আদায় করলে গোনাহ্গার হতে হবে। তারপরও প্রবৃত্তির তাড়নায় বা ঘুমের কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে সময় পার করে দেয়।
তবে সে সাধারণ পাপী বলে গণ্য হবে। তাকে আল্লাহ্র কাছে তওবা করতে হবে। অন্যায় থেকে বিরত হতে হবে। বড় বড় কাফেরের জন্যও তওবার দরজা উন্মুক্ত। আল্লাহ্ বলেন,
]قُلْ يَاعِبَادِي الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ[
“বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহ্র রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ্ সমস্ত গোনাহ্ ক্ষমা করেন। তিনি ক্ষমাশীল, অতিব দয়ালু।”
(((সূরা যুমার- ৫৩)))