যদি আপনি আপনার ঈমানের অবস্থা পরীক্ষা করতে চান তবে যখন একা থাকেন তখন নিজেকে পর্যবেক্ষণ করুন। একাকী অবস্থায় নিজেকে পর্যবেক্ষণ করুন।
.
দু রাকাত সালাত আদায় এবং একদিন রোজা রাখার মাধ্যমে ঈমান সৃষ্টি হয় না। বরং এটা সৃষ্টি হয় নিজের নফস এবং এর কামনা বাসনার বিরুদ্ধে মুজাহাদা করার মাধ্যমে।
.
আল্লাহ্র কসম! ইউসুফ (আ) এত বড় মর্যাদা এবং সফলতা লাভ করতে পেরেছেন শুধুমাত্র তাঁর নিজ প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার কারণে।
.
“পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দণ্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশী থেকে নিজেকে নিবৃত রেখেছে, তার ঠিকানা হবে জান্নাত” (৭৯: ৪০-৪১)
.
যেদিন আল্লাহ্র আরশের ছায়া ব্যতীত আর কোনো ছায়া থাকবে না, সেদিন যারা আল্লাহ্র আরশের ছায়ায় স্থান পাবে তাদের মধ্যে একজন হচ্ছে যে নির্জনে একাকী অবস্থায় আল্লাহ্কে স্মরণ করে এবং তার দুই চোখ অশ্রুতে ভিজে যায়,
.
অন্যজন হচ্ছে যাকে কোনো সুন্দরী এবং উচ্চবংশীয় নারী অবৈধ যৌনসম্পর্ক (যিনা) করার আহবান জানালে যে বলে “আমি আল্লাহ্কে ভয় করি”
.
গুনাহের জন্য দুর্ভোগ।
কতই না লজ্জাজনক এবং অপমানকর এর প্রভাব, কতই না খারাপ এর সংবাদ।
গুনাহসমূহ তো শুধুমাত্র অমনোযোগিতা এবং নির্জনতায়ই সংঘটিত হয়।
.
ওহে শোনো! যার নিজের উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই এমন কি এক মুহূর্তের জন্য ও নিজের প্রবৃত্তির উপর নিয়ন্ত্রন নেই, বল আমকে, কে তুমি!
কত বড় জ্ঞানী তুমি? কী তোমার সম্মান-মর্যাদা?
.
আল্লাহ্র কসম! তুমি কি জান সত্যিকারের মানুষ কে?
আল্লাহ্র কসম! সত্যিকারের মানুষ তো সে- যখন সে একা থাকে তখন হারাম কাজসমূহের মধ্য থেকে কোন একটি বিষয় যা সে ভালোবাসে এবং তা তার উপর প্রভাব বিস্তার করতে চায়, সে তখন আল্লাহ্কে স্মরণ করে এবং জানে যে আল্লাহ্ তাকে দেখছেন।
সে এই সত্য অনুভব করে এবং তার মালিকের নিকট লজ্জিত হয়, কীভাবে সে তার মালিকের অবাধ্য হবে, যখন তার মালিক তাকে দেখছেন!
.
তিরমিজির এক সহীহ হাদিসে আছে, আবু যার (রা) থেকে বর্ণিতঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম “মানুষের উপর এমন কিছু সময় অতিবাহিত হয়েছে যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল না” (সুরা ইনসান) এই আয়াতগুলো তিলাওয়াত করছিলেন, তিনি বলেনঃ রাসূল (সা) এই সুরা একদম শেষ পর্যন্ত পড়লেন এবং বললেন, ‘নিশ্চই আমি যা দেখি তোমরা তা দেখো না, আমি যা শোনি তোমরা তা শোনো না। আকাশ মড়মড় শব্দ করছে এবং আকশের তা করাই শোভা পায়। আকাশের উপর চার আঙ্গুল স্থানও ফাঁকা নেই যেখানে একজন ফেরেশতা সিজদায় লুটিয়ে নেই!!
.
আল্লাহ্র কসম! আমি যা জানি, তোমরা যদি তা জানতে তবে সল্পই হাসতে এবং অধিক কাঁদতে।
তাই আল্লাহ্র সহনশীলতা এবং মহানুভবতার কারণে ধোঁকা খেয়ো না।
.
এর কারণে অনেক পাপী আরও অধিক অগ্রগামী হয়েছে এবং অনেক জালিম একদম ধ্বংস হয়ে গেছে!
.
যখন নফস গুনাহ করতে চায় তখন তাকে আল্লাহ্র নজরের (আল্লাহ্ সব দেখছেন) কথা স্বরণ করিয়ে দাও।
তোমার দিকে যত দৃষ্টি আপতিত হয়, তার মধ্যে আল্লাহ্র দৃষ্টিকে সবচেয়ে তুচ্ছ মনে কর না।
যদি কোনদিন তুমি একা থাকো আর তোমার নফস তোমাকে গুনাহ এর দিকে আহবান করে, তাকে বলোঃ “আল্লাহ্র দৃষ্টির ব্যাপারে লজ্জিত হও; নিশ্চই যিনি অন্ধকার সৃষ্টি করেছেন তিনি তোমাকে দেখছেন”
.
যদি এটা তুমি বিশ্বাস করো যে, আল্লাহ্ তোমাকে দেখছেন না, তবে তুমি কত বড় কুফরিতে লিপ্ত!!!
আর আল্লাহ্ তোমাকে দেখছেন এই বিশ্বাস নিয়ে যদি তুমি গুনাহে লিপ্ত হও, তবে কত কঠিন তোমার অবাধ্যতা, কত বড় তোমার হঠকারিতা!
তুকি কত অবাধ্য, এবং কত বড় নির্লজ্জ!!
.
হে হতভাগ্য!! কোন শরীর নিয়ে তুমি আল্লাহ্র নিকট দাঁড়াবে?
কোন জবান দিয়ে তুমি আল্লাহ্র নিকট জবাব দিবে!!? সেই প্রশ্নের জন্য একটা উত্তর প্রস্তুত কর! এবং প্রস্তুত করো উত্তর দেয়ার মত ভালো একটা কারণ!
.
.
কার্টেসীঃ- ***KnowYourDeen