প্রশ্ন :আমরা জানি দোয়া করার আগে, প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা করতে হয় এরপর রাসুলের উপর দুরুদ পরতে হয় এরপর নিজের যা চাওয়ার চাইতে হবে এখন আমার প্রশ্ন হলো দোয়া করার আগে আমি যেভাবে শুরু করেছি শেষ টা কি সেভাবেই করতে হবে ?একটু জানাবেন।
——————————————-
উত্তর : দুআর শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা ও রাসুলের প্রতি দুরুদ এবং দুআ শেষ করে পূণরায় আল্লাহর প্রশংসা ও রাসূলের প্রতি দুরুদ পেশ করা দুআর একটি আদব। অর্থাৎ দুআর শুরুতে আল্লাহর হামদ (প্রশংসা) করে এর পরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি ছোট/বড় যেকোনো দরুদ পড়ে এর পরে নিজের জন্য দুয়া করতে হবে। আবার দুআ শেষ করে পূণরায় তা করতে হবে।
কেননা, হাদীসে এসেছে: “একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেখলেন এক ব্যক্তি দুআ করছে কিন্তু সে দুআতে আল্লাহর প্রশংসা ও রাসূলের প্রতি দরূদ পাঠ করেনি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে লক্ষ্য করে বললেন, সে তাড়াহুড়ো করেছে। অতঃপর সে আবার প্রার্থনা করল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে অথবা অন্যকে বললেন,
إذا صلى أحدكم فليبدأ بتمجيد ربه جل وعز والثناء عليه ، ثم يصلي على النبي صلى الله عليه وسلم ، ثم يدعو بعد بما شاء
“যখন তোমাদের কেউ দুআ করে তখন সে যেন আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও তার গুণগান দিয়ে দুআ শুরু করে। অতঃপর রাসূলের প্রতি দরূদ পাঠ করে। এরপর যা ইচ্ছা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে। ” (আবু দাউদঃ ১৪৮১, তিরমিজীঃ ৩৪৭৭, শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি সহীহ)
হাদীসে আরও বর্ণিত হয়েছে:
إن الدعاء موقوف بين السماء والأرض لا يصعد منه شيء حتى تصلي على نبيك صلى الله عليه وسلم ”
“দুআ ততক্ষণ পর্যন্ত আসমান ও জমিনের মাঝখানে ঝুলন্ত থাকে – কোন দুআই উপরে যায় না যতক্ষণ তুমি তোমার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর দুরুদ পেশ না কর।” (সহীহ তিরমিযী গ্রন্থে ইমাম আলবানী উক্ত হাদীসটিকে হাসান বলেছেন)
✳ প্রশংসা হিসেবেঃ আলহা’মদুলিল্লাহি রাব্বিল আ’লামিন বা আরো অন্য কিছুও বলা যায়।
✳ দুরুদ হিসেবেঃ আল্লাহুম্মা সাল্লি আ’লা মুহা’ম্মাদ ও আ’লা আলি মুহা’ম্মাদ, অথবা অন্য যেকোনো দুরুদ পড়া যাবে।
ইমাম নওবী রাহ. বলেন: শুরুতে ও শেষে উভয় ক্ষেত্রে আল্লাহর প্রশংসা ও দুরুদ পাঠের মুস্তাহাব হওয়ার ব্যাপারে আলেমগণ সর্বসম্মত মত ব্যক্ত করেছেন। আল্লাহু আলাম।
উত্তর. দিয়েছেন শাইখ Abdullahil Hadi