কখনো কখনো কোন মানুষের প্রতি যদি অন্তরে ভালবাসা বা ঘৃনাবোধ সৃষ্টি হয় তবে কি আমার গুনাহ হবে?

প্রশ্ন: কখনো কখনো কোন মানুষের প্রতি যদি অন্তরে ভালবাসা বা ঘৃনাবোধ সৃষ্টি হয় তবে কি আমার গুনাহ হবে?
~~~~~
মানুষের প্রতি ভালবাসা ও ঘৃণাবোধ সৃষ্টি হওয়া অন্তরের বিষয়। এতে গুনাহ হবে না।
কিন্তু যতক্ষণ না সে আপনার কোন ক্ষতি করে বা আপনার সাথে খারাপ আচরণ করে ততক্ষণ পর্যন্ত তার সাথে খারাপ আচরণ করার সুযোগ নেই। কেউ যদি কেবল তাকে পছন্দ করে না বলে তার সাথে অন্যায় আচরণ করে তবে সে গুনাহগার হবে।

*এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রন করবেন?*

১) ধৈর্য ধারণ করা।

২) মানুষকে ক্ষমা করা
আল্লাহ বলেন, *“অবশ্য যে ধৈর্য ধারণ করে এবং ক্ষমা করে দেয়, নিশ্চয় এটা দৃঢ় সংকল্পেরই কাজ।* ”
(সূরা আশ-শুরা-৪৩)

৩) রাগ দমন করার রাসুল সা. এর শিখানো পদ্ধতি অবলম্বন করা। যেমন, আউযুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজীম পাঠ করা…।
“সুলায়মান ইবনে সুরদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ একবার নবী (সাঃ) এর সামনেই দু’ব্যক্তি গালাগালী করছিল। আমরাও তাঁর কাছেই বসে ছিলাম, তাদের একজন অপর জনকে এত রাগান্বিত হয়ে গালি দিচ্ছিল যে, তার চেহারা লাল হয়ে গিয়েছিল। তখন নবী (সাঃ) বললেনঃ আমি একটি কালেমা জানি, যদি এ লোকটি তা পড়ত, তাহলে তার ক্রোধ চলে যেত।’ অর্থাৎ লোকটি যদি _’আউযু বিলাহি মিনাশশাইত্বানির রাজীম’ পড়ত।”_ [বুখারী ৫৬৮৫ ইঃফাঃ]

৪) নিজের এই ত্রুটি দূরভীত করার জন্য আল্লাহর নিকট দুয়া করা।

৫) মানুষের সাথে নম্র আচরণ করার মর্যাদা ও হাদীসগুলো স্বরণ করা।

৬) উত্তম চরিত্রের মর্যাদা সম্পর্কে হাদীসগুলো জেনে সে আলোকে নিজের চরিত্রকে সংশোধন করা।

৭) কাউকে অপছন্দ হলে তার তার মধ্যে খুঁজে দেখবেন অবশ্যই তার কিছু চমৎকার গুণ আছে। সেগুলো বিবেচনায় রাখা।

৮) কোনভাবেই রাগ দমন করা সম্ভব নয় মনে হলে যথা সম্ভব চেষ্ট করা তার থেকে দূরত্ব বজায় রাখা বা তার মুখোমুখি না হওয়ার চেষ্টা করা।

৯) যদি সে ব্যক্তির মধ্যে বিশেষ কোন দোষ থাকে যার কারণে তার ব্যাপারে আমার মনে ঘৃণা সৃষ্টি হয়েছে, আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তার সেগুলো সংশোধনের চেষ্টা করা বা এমন পন্থা অবলম্বন করা যাতে সে সংশোধন হয়।

১০) সে যদি আপনার কোন ক্ষতি করে থাকে বা তার প্রতি বিশেষ কোন অভিযোগ থাকে তবে সেটা সালিশের মাধ্যমে সমাধান করা।

~শাইখ আব্দুল্লাহীল হাদী।।

Share: