ইনশাআল্লাহ আমরা আকিদাহ ও শারিয়াহ এর কিছু কারণ আলোচনা করব যা, চিহ্নিত করতে ব্যর্থতা ও পালন করার ব্যার্থতার করনে ইসলামের পথে আমাদের নিজেদের চলা এক বিরাট বাধার সম্মুখিন। সর্বাপরি ইসলামের পুনর্জাগরনের বিজয়ের পথে বিরাট বাধা।
কারণগুলি নিম্নরুপ:
১। শিরককে চিনতে না পারার ব্যর্থতা।
২। হারাম ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান; ইহা বুঝতে না পারার ব্যর্থতা।
৩। মুশরিকদের সকল আমল ব্যর্থ; ইহা বুঝতে না পরার ব্যর্থতা।
৪। মুশরিকদের কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণের অধীনে থাকা মুসলিমদের জন্য নিষিদ্ধ; ইহা না পরিত্যাক না করা।
৫। মুশরিকদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে; ইহা বুঝতে না পারা।
৬। তাওয়াগিতদের কর্তৃত্ব, বিচার ও আইন মান্য করলে কোন ব্যক্তি ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়; ইহা বুঝতে না পারা।
৭। বাতিল শাসকদের আইন মানা ও তাদের জুলুম ও শিরককে মেনে নেয়া ইহাজীবনে আল্লাহর সাস্তি ডেকে আনে ও ইসলমের পুনরাবির্ভাবে বাধার কারণ; ইহা বুঝতে না পারা।
৮। আল্লাহ ততক্ষন আমাদের অবস্থা পরিবর্তন ঘটাবেন না যতক্ষন আমরা আমাদের আকীদা ও কাজে পরিবর্তন না ঘটাব; ইহা বুঝতে না পারা।
৯। আমরা যদি তাগুত, তার সৈন্যবাহিনী ও তার সমর্থকদের প্রত্যাখান করতে ব্যর্থ হই, তাহলে আমাদের দাওয়াত ব্যর্থতায় পর্যষিত হবে; ইহা বুঝতে না পারার ব্যর্থতা।
১০। মুসলিম বিশ্বের কাফির শাসকদের কর্তৃত্ব স্বীকারের মাধ্যমে সকল তাওগিতকে স্বীকার করে নিয়া হচেছ; ইহা বুঝতে না পারার ব্যর্থতা।
১১। এ সকল শাসকদের শিরক সহ্য করে নেয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি হচ্ছে ব্যাপক নিপীড়ন, নির্যাতন; ইহা বুঝতে না পারার ব্যর্থতা।
১২। মুরতাদের শাস্তি (যদি কেউ মুসলিম হওয়ার পর শিরকে লিপ্ত হয় ও এর থেকে ফিরে আসতে ব্যর্থ হয়) বা তার উপর হুদুদ (স্বাস্তি) কার্যকর করতে হবে; ইহা বুঝতে না পারার ব্যর্থতা।
১৩।শুধুমাত্র মুমিনগণ একে অপরের ন্য হারাম; ইহা বুঝতে না পারার ব্যর্থতা।
১৪। শিরকের বাহিনী সরিয়ে তাকে তাওহীদপন্থী লোকদের দ্বারা প্রতিস্থাপন করতে হবে; ইহা বুঝতে না পারার ব্যর্থতা।
১৫। রুসূল (সা: এর কথার অপপ্রয়োগ, মানব রচিত আইন ও আইন প্রণয়নের অধিকার কুফররূপে স্বীকার না করার ব্যর্থতা।
১৬। তাগুতের বাহিনীর সাথে সহযোগীতা মুসলিমদের ক্ষতি সাধন করবে; ইহা বুঝতে না পারার ব্যর্থতা।
১৭। তাগুতকে রক্ষা করা ও তাগুতের সহযোগীতা করা কুফর; ইহা বুঝতে না পারার ব্যর্থতা।
//
১।। শিরককে চিনতে না পারার ব্যর্থতা।
তাওহীদ সঠিকভাবে জানার ক্ষেত্রে ভুল করা যার ফলে সৃষ্টি হয় তাওহীদকে কাজে প্রয়োগের ক্ষেত্রে ভুল ব্যবহার ।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন: “সুতরাং জেনে নাও লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” সুরা মুহাম্মদ: ১৯
তাওহীদের প্রথম শরতই হলো জ্ঞান এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে মুহুর্ত তাওহীদ নিশ্চিত করতে ও শিরককে প্রত্যাখান করার জন্য তাওহীদ বুঝা ও অনুধাবন করা অত্যন্ত জরুরী।
//
২।। হারাম ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য বিধ্যমান; ইহা বুঝতে না পারার ব্যর্থতা।
কুফর কোন ব্যক্তিকে ইসলামের গন্ডি থেকে বের করে দেয় অথচ হারাম কাজে বা কবীরা গুনাহ আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা মাফ করতে পারেন। শিরকের গুনাহ আল্লাহ কখনই মাফ করবেন না, কেননা আল্লাহ বলেন: “আল্লাহ কেবল শিরকের গুনাহ মাফ করেন না। উহা ব্যতীত আর যত গুনাহ আছে তা যার জন্য ইচ্ছা মাফ করে দেন। যে লোক আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরীক করল সে তো গুনাহের কাজ করল”। সুলা নিসা: ৪৮)
সুতরাং কোন মুশরিককে মুসলিম ঘোষণা দেয়ার অর্থই আল্লাহর এই আয়াতকে খাটো করে দেখা এবং তুচ্ছ জ্ঞান করা ও এটা একটা বড় ধরনের বিপর্যয়।
//
৩।। মুশরিকদের সকল আমল ব্যর্থ; ইহা বুঝতে না পারার ব্যর্থতা।
বর্তমানের শাসক, বিচারক ও আইন প্রণয়নকারী সংস্থাদের পূর্ণ সহোযোগিতা ও তাদেরকে মান্য করার মাধ্যমে তাগুতের কাছে যারা সমর্পন করছে তারা তাগুতকে গ্রহণ ও শিরক আত-তআ (আনুগত্যে) আল্লাহর সাথে অন্যদেরকে শরীক) তে লিপ্ত ওয়ার কারণে মুশরিকে পরিণত হয়েছে। তার মানে তাদের সকল আমল নিষ্ফল যদিও বাইরে থেকে তাদের যতই ইসলাম পন্থী মনে হোক না কেন।
আল্লাহ বলেন: ‘তোমার প্রতি এবং পূর্বে গত হওয়া সমস্ত নবী রাসূলদের প্রতি এই ওহী পাঠানো হয়েছে যে, তুমি যদি শিরক কর তাহলে সমস্ত আমল নষ্ট হয়ে যাবে এবং তুমি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।’ সুরা যুমার: ৬৫)
//
৪।। মুশরিকদের কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রনের অধীন থাকা মুসলিমদের জন্য নিষিদ্ধ; ইহা বুঝতে না পারার ব্যর্থতা।
যারা তাওয়াগিত মুসলিমদের উচিত নয় তাদের কর্তৃত্ব স্বীকার করা বা তাদের মান্য করা। আল্লাহ বলেন: কিছুতেই আল্লাহ কাফিরদের মুসলিমদের উপর বিজয় দান করবেন না।” নিসা: ১৪১)
এবং
কাফির মুনাফিকদের সামনে আদ্রৌ দমে যেয়ো না, তাদের নিপীড়নকে বিন্দু মাত্র পরোয়া করো না। সুরা আল আহযাব: ৪৮)
এবং
তুমি যদি দুনিয়াবাসীদের অধিকাংশ লোকের কথামত চল, তাহলে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ হতে ভ্রষ্ট করে দিবে।: সুরা আন আম: ১১৬)
হে ঈমানদারগণ! তোমরা যদি কাফিরদের ইশারা অনুযায়ী চলা শুরু কর তবে তারা তোমাদের বিপরীত দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে এবং তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত ও ব্যর্থ হবে। সুরা আলে ইমরান: ১৪৯।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের সকল বাধা পেড়িয়ে তার দ্বীনের পথে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।