এমন অনেকেই হয়তো আছেন যারা অনেক বড় বড় পাপ করেছেন; কিন্তু এখন ভাল হতে চাচ্ছেন। ঠিক সেই মুহূর্তে শয়তান আপনাকে বারবার অতীতের কথা রিমাইন্ড করাচ্ছে। শয়তান আপনাকে বোঝাচ্ছে-
” তোর লজ্জা করেনা? এত পাপ করছিস, ঐ মেয়ের সাথে ঐ রাতে অশ্লীলতা করছিস, ঐ ছেলের সাথে ঘুরছিস, আর এখন তুই আল্লাহ্ কে ডাকছিস! তুই তো একটা নোংরা লোক, জীবনে তোর পাপের শেষ নাই, তোর মত নোংরা লোকের পবিত্র আল্লাহ কে ডাকার যোগ্যতা নাই”
আপনি হয়তো অতীতে এমন কিছু করেছেন যা এখন মনে করলে নিজের কাছে নিজেই ছোট হয়ে যান, লজ্জায় অপমানে হতাশ হয়ে পড়েছেন, এতটাই ছোট ভাবছেন নিজেকে যে আল্লাহ কে ডাকতেও লজ্জা পাচ্ছেন।
তবে জেনে রাখুন, ইসলামের দরজা আপনার জন্য সবসময় খোলা আছে।
আল্লাহ্ এতই ক্ষমাশীল, দয়ালু যে কোরআনে আপনার জন্য আয়াতও নাযিল করেছেন। আল্লাহ্ বলেছেন,
” কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সত্কর্ম করে, আল্লাহ্ তাদের গোনাহকে পূন্য দ্বারা পরিবর্তিত করে দেবেন। আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” ( সূরা আল ফুরকান- আয়াত- ৭০)
সুবহানাল্লাহ্!
যেখানে আল্লাহ্ নিজেই বলেছেন যদি আপনি অনেক পাপ করেও থাকেন তারপর যদি আন্তরিকভাবে তওবা করেন এবং বিশ্বাস স্থাপন করেন আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের প্রতি এবং খাটি তওবা করে বেশী বেশী ভাল কাজ করার জন্য উঠেপড়ে লাগেন, তাহলে আপনার পূর্বের পাপকে আল্লাহ্ পূন্যে পরিবর্তন করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ্!
তাহলে যারা নিজেকে ছোট ভেবে পাপী ভেবে ইসলামের থেকে দূরে সরে আছেন তাদের উচিত খাটি তওবা করা এবং এখন থেকে প্রাণপনে চেষ্টা করা ” কিভাবে আল্লাহ্ কে খুশি করা যায়”, নামাজ পড়ুন, কোরআন তিলাওয়াত করুন, জিকির করুন, দান করুন, বেশী বেশী নফল রোজা রাখুন, যতদিন বেঁচে থাকবেন আপনার জীবনের উদ্দেশ্য শুধু একটাই হবে ” কি করে আমার রব আল্লাহ্ খুশি হন”
আপনার মাথার মধ্যে কথাটা গেথে ফেলুন, প্রাণপনে চেষ্টা করুন ভাল কাজ করার, আর হ্যাঁ তওবা করেই যাবেন, তাহাজ্জুদে কান্নাকাটি করে ক্ষমা চাইবেন।যখনই জানতে পারবেন ইসলামে কোন কাজ হারাম তাকে বর্জন করবেন , ছোট ছোট পাপ থেকেও দূরে থাকবেন।
এগুলো যদি করতে পারেন তাহলে আশা করা যায় পূর্বের পাপ আল্লাহ্ পূন্যে পরিবর্তন করে দিবেন ইন-শা-আল্লাহ্ ।
সংগৃহীত
Al-Amin Jame Masjid. Mohammadpur